Advertisment

অযোধ্যা-তিন তালাক মামলায় রায় দেওয়া বিচারপতি এবার রাজ্যপাল, আবদুল নাজিরকে নিয়ে চরম বিতর্ক

মাত্র পাঁচ সপ্তাহ আগে, গত ৪ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
S Abdul Nazeer

অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস আবদুল নাজির। বিচারপতি থাকাকালীন তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনেছেন। বহু স্পর্শকাতর মামলার বিচারপতি ছিলেন। অযোধ্যা রামজন্মভূমি জমি সংক্রান্ত মামলায় তিনি বিচারপতি পদে ছিলেন। তিন তালাক মামলাতেও ছিলেন বিচারপতির আসনে। রবিবার সেই প্রাক্তন বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকেই অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

Advertisment

মাত্র পাঁচ সপ্তাহ আগে, গত ৪ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বিচারপতি নাজিরকে ধরলে এখনও পর্যন্ত অযোধ্যা মামলার পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের তিন জন প্রাক্তন বিচারপতিই অবসরের পর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন। এক আগে ওই বেঞ্চের প্রধান প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অবসরের পর রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হয়েছেন। বিচারপতি অশোক ভূষণ অবসরের চার মাস পর ২০২১ সালের জাতীয় কোম্পানি আইন আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারপার্সন হয়েছেন।

বিচারপতি নাজিরের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৫ জানুয়ারি। তিনি ২০০৩ সালে কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হন। এনিয়ে অবশ্য কম জলঘোলা হয়নি। কারণ, বিচারপতি নাজিরের আগে অনেক প্রবীণ বিচারপতি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার মত। কিন্তু, কলেজিয়াম বিচারপতি নাজিরের নামই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে প্রস্তাব করেছিল। কারণ, তাতে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে বৈচিত্র্য বাড়ত। যেহেতু বিচারপতি নাজির একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন- সংকটে সিরিয়া, ভূমিকম্প আরও সংকটে ফেলল?

কিন্তু, কলেজিয়ামের এই সিদ্ধান্ত বহু বিচারপতিই মেনে নেননি। যেমন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নাজিরের শপথগ্রহণের আগে বিচারপতি এইচজি রমেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন। বিচারপতি রমেশ ছিলেন বিচারপতি নাজিরের চেয়ে প্রবীণ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেএস খেহরকে লেখা এক অপ্রত্যাশিত চিঠিতে বিচারপতি রমেশ লিখেছিলেন, 'ভারতের সংবিধান হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ সমর্থন করে না।' যাইহোক, তাঁর সেই চিঠি শেষ পর্যন্ত কোনও কাজেই দেয়নি।

Read full story in English

Governor Justice Supreme Court of India
Advertisment