পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ না করলে সার্ক সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত- জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। হায়দরাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কর্তারপুর করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অব্যবহিত আগে এ কথা ঘোষণা করল বিদেশ মন্ত্রক।
মঙ্গলবারই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সার্ক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ২০১৬ সালে ১৯তম সার্ক সম্মেলন বয়কট করেছিল ভারত। ২০১৬ সালের ওই লম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ইসলামাবাদে। জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেনা ছাউনিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এ সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন, ২৬-১১ হামলার চক্রী চেহারা বদলে ফেলেছে: সূত্র
ভারতের পর বাংলাদেশ, ভূটান এবং আফগানিস্থানও সার্ক সম্মেলন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেবার সম্মেলন বন্ধ করে দিতে হয়। এর পর থেকে আর কোনও সার্ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শিখ ধর্মগুরু নানকের সমাধিক্ষেত্রে কর্তারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহিব থেকে গুরদাসপুরের নানক মন্দির ডেরা বাবা পর্যন্ত করিডোরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হতে চলেছে। তার ঠিক আগেই বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এই বিবৃতি দিয়েছেন।
কর্তারপুর করিডোর চালুর ব্যাপারে ভারত এর আগে পাকিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছিল। এই করিডোর দিয়ে ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীরা ভিসা ছাড়াই কর্তারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহিব যেতে পারবেন।
সুষমা বলেছেন, ‘‘গত ২০ বছর ধরে ভারত কর্তারপুর করিডোরের কথা পাকিস্তানকে বলে আসছে। এই প্রথম তাতে সাড়া দিয়েছে পাকিস্তান। এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত খুশি। কিন্তু তার মানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়ে যাবে না।’’ সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
‘পূর্বনির্ধারিত’ কাজ থাকায় কর্তারপুর করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তানে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সুষমা। তার বদলে কেন্দ্রী মন্ত্রী হরসিমরৎ কৌর বাদল এবং হরদীপ সিং পুরী ওই অনুষ্ঠানে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Read the Full Story in English