বুধবার দুই মধ্যচল্লিশের মহিলার শবরীমালা-গর্ভগৃহে প্রবেশ করা নিয়ে উত্তাল হয়েছে কেরালা। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে ‘শাটডাউন’, অর্থাৎ জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়ার ডাক দিয়েছিল সংঘ-সমর্থিত ‘শবরীমালা অ্যাকশন কাউন্সিল’। তার জেরে দিনভর ব্যাপক হিংসার সাক্ষী থাকল কেরালা। ভাঙচুর হল ৭৯ টি সরকারি বাস, গ্রেফতার হলেন ৭৪৫ জন। বিজেপি, কংগ্রেস উভয় দলের সমর্থকরাই বিক্ষোভ জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে। হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে সংসদে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করেন কংগ্রেস সাংসদরা। কিন্তু প্রতিবাদের পরিকল্পনায় বাধা দেন ইউপিএ সভাপতি তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
সূত্রের খবর অনুযায়ী যেই মুহূর্তে সংসদে কালো ফিতে বিলি করা শুরু হয়, ইউপিএ সভাপতি দলের সাংসদদের প্রতিবাদ না করার নির্দেশ দেন। দলীয় সাংসদদের সোনিয়া গান্ধী মনে করিয়ে দেন কংগ্রেস লিঙ্গসাম্য এবং নারী অধিকারে বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন, রাম মন্দির মামলার শুনানি শেষ আধ মিনিটে
সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের দলীয় সাংসদ এবং সদস্যদের ইতিমধ্যে বার্তা দিয়েছেন, "স্থানীয় রাজনীতির অংশ হিসেবে কেরালায় শবরীমালা ইস্যুতে কংগ্রেস শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাচ্ছে। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস যেন মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশানুমতির প্রতিবাদ না করে, কারণ তা কংগ্রেসের আদর্শ বিরুদ্ধ।
বর্তমানে কেরালার সাতজন সাংসদ রয়েছে লোকসভায়। শবরীমালা ইস্যু নিয়ে সুপ্রিম রায় বেরোনোর পর থেকেই উভয় দিক সামলানোর চেষ্টা করে চলেছে কংগ্রেস। রাজ্য স্তরে সিপিএম-এর বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। শবরীমালার গর্ভগৃহে সব বয়সী মহিলা প্রবেশ করতে পারবেন, শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কেরালার শাসক দল। আবার জাতীয় স্তরে শবরীমালা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে সমর্থন করেছে কংগ্রেসও। বর্তমান পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিল, আসন্ন লোকসভায় শবরীমালা ইস্যু নিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই পড়তে চলেছেন রাহুল-সোনিয়ারা।
Read the full story in English