শবরীমালা মন্দিরে দুই মহিলার পুজো দেওয়ার ঘটনার দুদিন পর বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখির দাবি, ওই দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। লেখির বক্তব্য, ওঁরা যদি ভক্তই হন, তবে ওঁদের উচিত ছিল দিনের আলোয় পুজো দেওয়া। মন্দির এলাকাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও এক হাত নেন বিজেপি নেত্রী।
তিনি বলেন, "কেউ যদি মন্দিরকে সংঘর্ষক্ষেত্র বানিয়ে থাকে, তো তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মহিলাদের রাত ১টার সময়ে হিজরা সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যদি ওঁরা সত্যিই ভক্ত মহিলা হয়ে থাকতেন, তাহলে ওঁদের দিনের বেলা যাওয়া উচিত ছিল, তার বদলে গোটা ঘটনাটাই ঘটল রাতের অন্ধকারে।"
আরও পড়ুন, উত্তর প্রদেশের গরুদের কী হবে?
মহিলারা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার পর গোটা কেরালা জুড়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে, যার জেরে বুধবার এক বিজেপি সমর্থকের মৃত্যুও হয়েছে। বৃহস্পতিবার শবরীমালা অ্যাকশন কাউন্সিলের তরফ থেকে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কেরালায় হরতালের ডাক দেওয়া হয়। এর ফলে গোটা রাজ্যের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই বন্ধের বিরোধিতা করেছিল পর্যটন সংস্থা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। তবে সে বিরোধিতায় খুব বেশি কাজ হয়নি। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ কার্যত পরিণত হয় বিজেপি বনাম সিপিএমের রাস্তার লড়াইয়ে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে হিংসার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় ১,৫০০ জন।
দুই মহিলার মন্দিরে ঢোকার পরেই শবরীমালার প্রধান পুরোহিত মন্দির বন্ধ করে যে শুদ্ধিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার সমালোচনা করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এদিকে, শবরীমালার প্রধান পুরোহিতের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Read the Full Story in English