সব্যসাচী দত্ত বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্ব ক্লাইম্যাক্সে মোড় নিল। বিধাননগরের মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল তৃণমূল। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করলেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন ৩৫ জন কাউন্সিলর। আরও ২-৩ জন কাউন্সিলর এখনও অনাস্থা পত্রে সই করেননি বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ প্রসঙ্গে চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনাস্থায় যাচ্ছি আমরা। অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছেন ডেপুটি মেয়র। অনাস্থা পত্র জয়েন্ট কমিশনারকে পাঠাব, যেহেতু কমিশনার এই মুহূর্তে নেই। ৭-১৫ দিনের মধ্যে বোর্ড মিটিং ডাকতে হবে। অনাস্থা প্রমাণ করতে হবে। যা প্রক্রিয়া করা হবে। দল যাঁকে মেয়রের প্রার্থী করবেন, তিনি ভোটে লড়বেন। যাঁকে প্রার্থী করা হবে, তাঁকে নির্বাচিত করব আমরা’’।
আরও পড়ুন: দলের এত টাকা আছে! প্রশান্ত কিশোর কোথা থেকে পেমেন্ট পাচ্ছেন, প্রশ্ন সব্যসাচীর
অনাস্থা প্রসঙ্গে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘পুর আইন অনুযায়ী, অনাস্থা আনতেই পারে। অনাস্থা আনতে হলে এজেন্ডা অনুযায়ী মিটিং ডাকতে হবে। সেই চিঠি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করব’’। সব্যসাচী যে মেয়র পদ ছাড়তে নারাজ, সে ব্যাপারে এদিনও স্পষ্ট করলেন। বিধাননগরের মেয়র বলেন, ‘‘যতদিন দায়িত্বে থাকব, ততদিন দায়িত্ব পালন করব’’। অন্যদিকে, কাউন্সিলরদের অনাস্থা পত্রে সই প্রসঙ্গে সব্যসাচী বলেন, ‘‘৩৫ জন সই করেছে, বাকিরাও করবে। আমি তো ভেবেছিলাম ৪০ জনই করবে’’।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরসভায় মোট কাউন্সিলর ৪১ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ১ জন সিপিএম কাউন্সিলর ও ১ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। ৩৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে একজন সব্যসাচী নিজেই। অর্থাৎ সব্যসাচী বাদে বিধাননগর পুরসভায় রয়েছেন ৩৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। গত রবিবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিধাননগর পুরসভার ৩৬ জন কাউন্সিলর। ২ জন কাউন্সিলর সেই বৈঠক এড়িয়েছিলেন।