সব্যসাচী দত্ত বনাম তৃণমূল সংঘাত এবার নয়া মোড় নিল। বিধাননগরের মেয়রকে আইনি নোটিস পাঠালেন কাউন্সিলর সুভাষ বসুর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা বসু। ৩ দিনের মধ্যে নিঃশর্তে ক্ষমা না চাইলে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধাননগর পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বসু।ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরের মেয়রের এই অভিযোগ ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সুভাষ বসু।
কেন সব্যসাচীকে আইনি নোটিস পাঠালেন কাউন্সিলর?
এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বসু বলেন, ‘‘স্ত্রী ও আমার তরফ থেকে সব্যসাচী দত্তকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিগত ক’দিন ধরে উনি যে সমস্ত ভিত্তিহীন, আজেবাজে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে করেছেন, তাতে সামাজিক ভাবে মানসম্মান হানি করেছেন। ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে কেউ যদি আমাদের মানহানি করেন, সেজন্যই মানহানির মামলা করা করতে বাধ্য হলাম’’। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে মেসেজ ফরওয়ার্ড করেছেন সব্যসাচী। যার জেরেই সব্যসাচীর বিরুদ্ধে আইনি নোটিস দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সব্যসাচী দত্তকে কোণঠাসা করতেই এই আইনি নোটিস।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র করে সই জাল করে অনাস্থা, বিস্ফোরক সব্যসাচী দত্ত
অন্যদিকে, সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন জনৈক কাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে সুভাষ বসু বলেন, ‘‘ব্যক্তি সব্যসাচী দত্ত যে ধরনের মানুষ, সব কাউন্সলিররা অনাস্থা এনেছেন। তবুও কী স্বার্থে ছল চাতুরি, আইনি কুশীলতা করে পদে থাকার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছেন। কারণ কী? বুদ্ধি দিয়ে ভাবলে কারণ জানা যাবে। ওঁর অনেকগুলো অসমাপ্ত দুর্নীতির কাজ এখনও পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। মাফ করবেন দুর্নীতির কথা বলতে হল। আজ ওঁর জায়গায় যে কেউ থাকলে নিজের সম্মান বজায় রেখে ইস্তফা দিয়ে চলে যেতেন’’।
আরও পড়ুন: সব্যসাচীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হিম্মত নেই মমতার: মুকুল
যদিও কাউন্সিলরের পাঠানো আইনি নোটিস প্রসঙ্গে এখনও সব্যসাচীর দত্তর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বিধাননগর পুরসভায় দলীয় কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। আজ বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৩৫ জন কাউন্সিলর। আগামী ১৮ জুলাই ভোটাভুটি। তার আগে হাইকোর্টে মামলা কোন পথে এগোয় সেদিকেই নজর সংশ্লিষ্ট মহলের।