/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/07/sabyasachi-mamata-759-1.jpg)
সব্যসাচী দত্ত ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় কাজকর্মে এই মুহূর্তে চক্ষুশূল। তবে রাজনীতির ময়দানে দেখা না হলেও প্রশাসনিক বৈঠকে সাক্ষাৎ হল মমতা-সব্যসাচীর। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তর মুখোমুখি শুধু দেখাই হল না, দুজনের মধ্যে দীর্ঘ বিরতির পর কথোপকথনও হল। তবে শুক্রবারের বাক্যালাপ অবশ্যই রাজনৈতিক নয়, বরং প্রশাসনিক কাজের বাধ্যবাধকতায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীকে সামনে পেয়ে সব্যসাচী ফের জলাশয় ভরাট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তাঁকে 'কর্তব্য়ে অবহেলা'র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার নজরুল প্রেক্ষাগৃহে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সম্প্রতি দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সব্যসাচী। তৃণমূল ভবনে মুখ্যামন্ত্রীর ডাকা বিধায়কদের বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকেননি। ইদানীং মুকুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা-সহ সব্যসাচীর নানা কর্মকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক্ষিপ্ত তা দলের পদক্ষেপেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- 'তৃণমূলে ফেরার প্রশ্নই নেই, ভাল লোকেরাই দল ছাড়ছে'
উল্লেখ্য, এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ চুপ করেই ছিলেন সব্যসাচী। এরপরই নীরবতা ভেঙে সব্যসাচী রাজ্য়ের প্রশাসনিক প্রধানের উদ্দেশে বলেন, "আমার চাওয়ার কিছুই নেই। তবে এটা বলব যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে যোগাযোগ থাকে না। জেলাগুলোতে পুকুর ভরাট আর জলাশয় ভরাট করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ডি.এম-কে চিঠি দিয়েই জিজ্ঞেস করেছি, কিন্তু কেউ কিছুই বলতে পারেননি। কিছু ব্যবস্থাও নেয়নি।" উল্লেখ্য, বিধাননগরের মেয়রের কুর্সি থেকে পদত্য়াগ করার সময়ও জলাশয় ভরাট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সব্যসাচী। এদিনও সেই সুরেই অভিযোগ করেন সব্যসাচী। এদিন সব্যসাচী কথা শেষ করতেই সপাটে জবাব দেন মমতা। দোষারোপের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এটা দেখতে হবে। শোন সব্যসাচী, তুই মিউনিসিপ্যালিটিতে ছিলিস। তখনও সেভাবে দেখিসনি। তোর বিধানসভায় কিছু থাকলে বল"। এর উত্তরে সব্যসাচী বলেন, "জেলাশসক রাজারহাট-নিউটাউনের জমির রেকর্ড দিতে পারেননি। ববিদাও (ফিরহাদ হাকিম) ছিলেন সেই সময়।" এরপর দু'জনের মধ্যে ধন্যবাদ বিনিময় হয়।
আরও পড়ুন- তৃণমূলেই আছি, দল প্রমাণ করল আমার দাবি ন্যায্য ছিল: সব্যসাচী
প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলর সুভাষ বসুর বিরুদ্ধে জলা ভরাট-সহ বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ সামনে এসেছে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সব্যসাচী দত্তও। মেয়র পদ ছাড়ার সময়ও তিনি এই ইস্যু ফের সামনে এনেছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে এ বিষয়ে তিনি প্রশ্ন করে নিজের 'নৈতিক অবস্থান' স্পষ্ট করার চেষ্টা করতেই মমতা বুঝেয়ে দেন, সব্যসাচীও তাঁর দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন, এমনটাই মত ওয়াকিবহালমহলের।