পদ্ম ছেড়ে জোড়া-ফুলে ঘরওয়াপসির পর পুরভোট জয় হাসিল করেছেন সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৪ হাজারের বেশি ভোট জয় পেয়েছেন প্রাক্তন মেয়র। গণনা কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়েই এই জয়কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলে জানিয়েছিলেন। এরপরই সস্ত্রীক কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের সঙ্গে দেখা করলেন সব্যসাচী দত্ত।
দলের সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা হয়েছে সব্যসাচীবাবুর। প্রকাশ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। একবার অভইষেকের সঙ্গে করমর্দন করেন ও যুব নেতাকে আলিঙ্গনও করেন তিনি।
'দিদি' ও অভিষেকের সঙ্গে কী কথা হল তাঁর? সব্যসাচী দত্তের জবাব, 'ঘরোয়া কথা হয়েছে। দিদি আশীর্বাদ করেছেন।' এরপরই আজ ভালোবাসার দিনে দিদির কাছ থেকে তাঁর স্ত্রীর পাওয়া উপহারের কথা বলেন তিনি। সব্যসাচীর কথায়, 'দিদি ওর (স্ত্রীকে) কাছ থেকে জানতে চাইলেন আজ ভ্যালেন্টাইন ডে-তে আমি ওকে কী উপহার দিয়েছি। ও বলে কিছুই না। এরপরই লতা বৌদিকে দিদি বলেন একটা শাড়ি দিতে। ওকে একটা শাড়ি দিয়েছেন মমতদি।'
শিলিগুড়ির মেয়রের নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র কে? জল্পনার তুঙ্গে। দৌড়ে সব্যসাচী দত্তের সঙ্গেই রয়েছেন আরেক প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। স্বয়ং মমতা অবশ্য বলেছেন, 'এখনই মেয়র কে হবে বলব না। উত্তরবঙ্গে থেকে ৩ দিন পর ফিরে দলের সবার সঙ্গে কথা বলেই মেয়র নির্ধারণ হবে।'
সব্যসাচীবাবুও বলেছেন, 'চেয়ারে যেই বসুন বিধাননগরের আসন মেয়র মমতা বন্দ্যোপাধ্যাই।'
সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল নেত্রী বাড়ি ছাড়ার পরই সেখানে হাজির হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বলেন, 'দিদির আশীর্বাদ নিতে এসেছি।ওই হাত মাথার উপর থাকলে আমি বিশ্বজয় করতে পারব।'