Advertisment

রাজস্থান কংগ্রেসে চরম কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে খাড়গের দ্বারস্থ পাইলট

দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন পাইলট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ashoke_Gehlot

বাঁ দিক থেকে পাশাপাশি শচীন পাইলট ও অশোক গেহলট। এই হাসি কি অন্তরের?

ফের রাজস্থান কংগ্রেসে গন্ডগোল। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট বুধবার তীব্রভাষায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কংগ্রেস সভাপতির কাছে জানতে চেয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হল? মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের তিন অনুগামীকে নোটিস দেওয়া নিয়েই বা কী সিদ্ধান্ত নিল দল?

Advertisment

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল রাজস্থানে দলের নেতাদের প্রকাশ্যে মুখ না-খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে বলেছিলেন যাতে তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি না-দেন। এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর, কংগ্রেসের গেহলট অনুগামী বিধায়করা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁরা বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছিলেন।

বিদ্রোহী বিধায়কদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না-করেই কংগ্রেস হাইকমান্ড গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে চাইছেন। অন্য মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করছেন। শুধুমাত্র স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পেশই নয়, ওই বিদ্রোহী বিধায়করা কংগ্রেস বিধায়ক দলের বৈঠকও এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এর পরই কাউকে পরস্পরের বিরুদ্ধে মুখ না-খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বেণুগোপাল।

আরও পড়ুন- সূর্য হাসছে, ছবি প্রকাশ করেছে নাসা, বিপদ দেখছেন বিজ্ঞানীরা

যদিও গেহলট সেই নির্দেশ মানেননি। ২ অক্টোবর তিনি নাম না-করেই শচীন পাইলট ও হাইকমান্ডের তরফে রাজস্থানে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অজয় মাকেনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তবে, বক্তব্যে তাঁদের নাম উল্লেখ করেননি। তবে, দলে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের হয়ে সুর চড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৭ অক্টোবর ফের মুখ খুলেছিলেন গেহলট। সেই সময়ও অবশ্য তিনি নাম না-করেই পাইলটকে আক্রমণ করেছিলেন। আর বলেছিলেন যে অভিজ্ঞতার দাম দিতে হয়। যুবদের ধৈর্য ধরতে শিখতে হবে। কখন তাঁদের সময় আসে, তার জন্য যুবকদের অপেক্ষা করা উচিত।

যাইহোক, ভেণুগোপাল রাজস্থানের সমস্যা এক থেকে দুই দিনের মধ্যে মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন. কিন্তু, এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছিল সভাপতি নির্বাচনের পরে এটির সুরাহা হবে। কিন্তু, দলের নেতারা এখন হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আর, রাহুল গান্ধী ব্যস্ত 'ভারত জোড়' যাত্রা নিয়ে।

Read full story in English

CONGRESS Ashok Gehlot Sachin Pilot
Advertisment