ফের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব দলেরই নেতা। রাজস্থানে ফের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বনাম প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে কংগ্রেস। সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করছেন কংগ্রেস নেতা। এই অবস্থায় পাইলটকে চরম হুঁশিয়ারি দল কংগ্রেস। সোমবার রাতেই পাইলটকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকমান্ডের তরফে, এই অনশন কর্মসূচি দলবিরোধী বলে গণ্য হবে।
আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনশন কর্মসূচি শুরু করছেন পাইলট। তাঁর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। যে কারণে অস্বস্তি চরমে উঠেছে হাত শিবিরে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই অনশন কর্মসূচির কারণে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য পাইলটের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে পাইলট দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী গেহলট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের দুর্নীতি মামলাগুলিতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে অনশনে বসছেন পাইলট। এর পর সোমবার রাতে রাজস্থানের এআইসিসি পর্যবেক্ষক সুখজিন্দর সিং রণধাওয়া বিবৃতি দিয়ে বলেন, "শচীন পাইলটের একদিনের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি দলের স্বার্থবিরোধী। এটা দলবিরোধী কার্যকলাপ। নিজের সরকারের সঙ্গে কোনও সমস্যা হলে সেটা পার্টির অভ্যন্তরে আলোচনা করতে হবে। মিডিয়া বা প্রকাশ্যে বলে লাভ নেই।"
আরও পড়ুন ভোটের আগেই গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব চরমে, অস্বস্তিতে দলের শীর্ষনেতৃত্ব
এই বিবৃতির পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি পাইলট। গেহলটও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সোমবার রাতে হাইকম্যান্ড পাইলটকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছে। পাইলটের অনুগামীদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে যাঁরা এই কর্মসূচিতে শামিল হতেন।
দলীয় সূত্রে খবর, রাতে পাইলটের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রণধাওয়ার। পাইলটকে দিল্লি আসার অনুরোধ করেন রণধাওয়া। এমনকী তিনি নিজে দয়পুর গিয়ে পাইলট এবং গেহলটের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে প্রথমে খবর ছড়ায়। পরি সিদ্ধান্ত পাল্টে পাইলটকে ফোন করেন রণধাওয়া।