শত চেষ্টা সত্ত্বেও শচীন পাইলটকে ঘিরে কংগ্রেসের ঘরে জমাট বাঁধা বরফ গলল না। শেষ পর্যন্ত অশোক গেহলটের ককপিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হল পাইলটকে। 'দ্বিতীয় সুযোগ'-এর পরও চিড়ে না ভেজায়, রাজস্থানের উপমুখ্য়মন্ত্রীর পদ থেকে যেমন সরানো হল কংগ্রেসের তরুণ নেতাকে, তেমনই সে রাজ্য়ের কংগ্রেস সভাপতির পদও খোয়ালেন শচীন পাইলট। পাইলট ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দুই মন্ত্রীকেও গেহলটের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই 'ক্ষিপ্ত' পাইলট অনুগামীরা। যেভাবে পাইলটকে 'হেনস্থা' করা হল, তা কখনই 'কাম্য় নয়' বলে সরব হয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, উপমুখ্য়মন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর টুইটারে পাইলট লিখেছেন, ''সত্য়কে হেনস্থা করা যায়, পরাজিত করা যায় না''। জানা যাচ্ছে, পাইলটের জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ পেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং দোতাসরা।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পাইলট, সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের
সোমবারের পর মঙ্গলবারও পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ''বহুবার পাইলটের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁকে বলেছি, সব কথা শোনা হবে। পাইলটের মতো কোনও তরুণ নেতার এতটা অগ্রগতি হয়নি। আমরা ওঁকে যথাযথ স্বীকৃতি দিয়েছি''।
দুই মন্ত্রী ও প্রাক্তন স্পিকার দীপেন্দর শেখাওয়াতের লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পাইলটকে যেভাবে হেনস্থা করা হল, তা কখনই গ্রহণযোগ্য় নয়।
বিশ্বেন্দর সিং, রমেশ মিনা ও প্রাক্তন স্পিকার দীপেন্দর শেখাওয়াতের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''বছরের পর বছর ধরে আমরা নিষ্ঠা সহকারে দলের সেবা করেছি। আমরা এখন আমাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মান রক্ষার্থে একজোট হয়েছি, কারণ, আমাদের নেতাকে দেশদ্রোহিতা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এসওজি থেকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে...শচীন পাইলটের নেতৃত্বে দলকে মজবুত করতে ও রাজস্থানে ক্ষমতায় আসতে গত ৬ বছরে অনেক পরিশ্রম করেছি''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন