প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকার ‘অবমাননা’ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারির তাণ্ডবে গোটা দেশে 'দুঃখিত' বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে ওই ঘটনার তিনি নিজে 'স্তম্ভিত' বলে দাবি করেছেন। রবিবার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রদানমন্ত্রী লালকেল্লায় তাণ্ডবের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'গত ২৬ জানুয়ারি তেরঙার অবমাননায় স্তম্ভিত দেশ।'
Advertisment
তবেরবিবার ‘মন কি বাত’-এর ৭৩ তম পর্বে নয়া কৃষি আইন নিয়ে নতুন কোনও বার্তা দেননি মোদী। সরাসরি কৃষকদের বিক্ষোভের কথাও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসেনি। কেবল তেরঙার 'অবমাননা' নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়েছিল। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। ব্যারিকেড ভেঙে একদল বিক্ষোভকারী লালকেল্লার সামনে চলে আসেন। লালকেল্লায় কৃষক সংগঠনের পতাকা ‘নিশান সাহিব’ উড়িয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। সেই পতাকার উচ্চতা ছিল জাতীয় পতাকার চেয়ে বেশি। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। নিন্দায় সরব হয় দেশবাসী। এবার প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।
বাজেট অধিবেশনের প্রাম্ভিক ভাষণে এই ঘটনাকে নিন্দা করেন রাষ্ট্রপতি রামনবাথ কোবিন্দ। সংসদে বক্তব্য রাকার সময় তিনি জানান, গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই মোদী সরকারের। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে যেভাবে জাতীয় পতাকার ‘অবমাননা’ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শুক্রবার রাষ্ট্রপতির পর রবিবার মোদীর গলায় লালকেল্লালয় তাণ্ডব নিয়ে চড়া সুর শোনা গেল।
রজাতন্ত্র দিবসে জীতায় ঐতিহ্যে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগের তির কৃষকদের বিরুদ্ধে উঠছে। তবে, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন দমাতে পাল্টা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের দাবি করেছে কৃষকরা। এই বিতর্কের মধ্যেই লালকেল্লায় ভাঙুচুরের ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এমন পাঁচজনকে চিহ্নিত করা হয়ছে যাদের নাম আগেই পুলিশের খাতায় রয়েছে। নানা অপরাধে একাধিকবার গ্রেফতারও করা হয় তাদের। অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন হামলাকারী দিল্লির বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনিল মিত্তল জানিয়েছেন, লালকেল্লা ও কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৮৪ জন।