প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের বাকযুদ্ধ রবিবারও অব্যাহত রইল। মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস মন্ত্রী সজ্জন সিং ভার্মা বললেন, "বিজেপির দুর্ভাগ্য, ওদের দলে এমন কিছু মুখ আছে, যাদের দলের মধ্যেও কেউই পছন্দ করে না।" এই মন্তব্যের মূলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বক্তব্য, যে কংগ্রেস আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থীর অভাবে "চকলেট ফেস" নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামছে।
"বিজেপির দুর্ভাগ্য, ওদের দলে এমন কিছু মুখ আছে, যাদের দলের মধ্যেও কেউই পছন্দ করে না। এক হেমা মালিনী আছেন, যাঁকে সারা দেশে নৃত্য পরিবেশন করে ভোট জোগাড় করতে হয়," সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন ভার্মা। তাঁর আরো বক্তব্য, "মানুষ ঈশ্বরের সৃষ্টি। সবার উচিত সবার প্রশংসা করা। ঈশ্বর প্রিয়াঙ্কাকে সুন্দরী তৈরি করেছেন, তাতে ওঁর তো কোনো দোষ নেই। ওঁর সম্বন্ধে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করে বিজয়বর্গীয় নিজে সম্মান খুইয়েছেন, দলের মুখেও চুনকালি মাখিয়েছেন।"
শনিবার বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, "এক কংগ্রেস নেতার দাবি, ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে করিনা কাপুরকে নামানো হোক। আবার কেউ কেউ ইন্দোরে সলমন খানের দাঁড়ানোর কথা বলছেন। একইভাবে প্রিয়াঙ্কাও (বর্তমানে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা) সক্রিয় রাজনীতিতে চলে এলেন। আসল কথা হলো, কংগ্রেসের কোনো ক্ষমতাশালী নেতা নেই লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর মতো। তাই সুন্দর মুখের ওপর ভর করে লড়তে চায়।"
আরও পড়ুন: ব্রিগেড ভরাবেন ইন্দিরার নাতনি, আশায় বুক বাঁধছে বঙ্গ কংগ্রেস
এর আগে বিহারের এক মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিনোদ নারায়ণ ঝা একইভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, যে প্রিয়াঙ্কা "সুন্দরী" হতে পারেন, কিন্তু সুন্দর মুখ দিয়ে ভোট পাওয়া যায় না। তাঁর বক্তব্য, প্রিয়াঙ্কার কোনো রাজনৈতিক কৃতিত্ব নেই, তিনি এক সুন্দর মুখ মাত্র।
"সুন্দরী হওয়া ছাড়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরার মধ্যে আর কোনো গুন আমি দেখি না। প্রকৃতি ওঁর প্রতি সদয় হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের মনে রাখা উচিত, সৌন্দর্য্য দিয়ে ভোট পাওয়া যায় না। প্রিয়াঙ্কা একেবারেই নবাগতা, এবং ওঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে," বলেন জনস্বাস্থ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের ওই মন্ত্রী।
Read the full story in English