প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মাথায় গেরুয়া পাগড়ি। ঠিক যেমনটা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন পরেন। সেই পাগড়ি পরেই তিনি অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির দর্শন করলেন। গুরু ভজন শুনলেন। গুরুর স্থলে প্রণাম করলেন। আর, সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়ল গোটা বিশ্বে। রাহুলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত ছবিগুলোর সঙ্গে শোনা গেল গুরুর ভজনও। যা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
এই বিতর্ককে বাড়িয়ে জঙ্গি উপদ্রুত পঞ্জাবের স্মৃতিও জেগে উঠেছে অনেকের মনে। যেমনটা জেগে উঠেছে অপারেশন ব্লু স্টার ও তার পরবর্তী দিল্লির শিখ দাঙ্গার ছবি। এই সব বিতর্কের মধ্যেই তাঁর 'ভারত জোড়ো যাত্রা' পঞ্জাব দিয়ে যাওয়ার আগে রাহুল যেন জিতে নিতে চাইলেন সাধারণ পঞ্জাবিদের মন। সেই সব পঞ্জাবিদের, যাঁদের অনেকেই অপারেশন ব্লু স্টার ও তার পরবর্তী সময়ে দিল্লির শিখ দাঙ্গা নিয়ে এতদিন নেহরু-গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে এসেছেন।
শিখদের এই গেরুয়া রঙের পাগড়ি বা 'কেশরি' রঙের পাগড়ি খালিস্তানপন্থী শিখ জঙ্গিরা ব্যবহার করত। স্বভাবতই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেরি করেননি ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্ব। দিল্লির শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের একটি এডিটেড ভিডিও শেয়ার করেছেন। যে ভিডিওয় শোনা যাচ্ছে রাহুল জিজ্ঞাসা করছেন, গেরুয়া পাগড়ির বিশেষত্ব কী! জবাবে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং জানাচ্ছেন, কোনও পার্থক্য নেই।
আরও পড়ুন- দফতর-বাড়িতে টাকার পাহাড়! কেন? কী ব্যাখ্যা জেলার ‘সর্বোচ্চ করদাতা’ বিধায়ক জাকিরের
মঙ্গলবার রাহুল অমৃতসরে পা রাখেন। এরপরই রাহুলের ভিডিও পোস্ট করে মনজিন্দর সিং সিরসা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'পবিত্র নিশানের পাশাপাশি কেশরী সাহস ও অঙ্গীকারের রং। পাশাপাশি, আমাদের জাতীয় পতাকারও একটি রং। @রাহুল গান্ধী-সহ এই ভিডিওয় থাকা প্রত্যেকেই কেশরীর তাৎপর্য সম্পর্কে অজ্ঞ। যার অর্থ কোনও আবেগ বা সম্মান ছাড়াই তিনি এই রঙের পাগড়ি পরেছেন। কতটা, নকলনবিশ!'
Read full story in English