লুচি-আলুর দম কাণ্ডে জল্পনা ছিলই। সে জল্পনা ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তকে ঘিরে। ঘাসফুলের তুলনায় পদ্মপাতার টান কি ক্রমে গ্রাস করছে সব্যসাচীকে? শঙ্কুদেব পান্ডা, সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা, অর্জুন সিংয়ের পর 'আয়ারাম গয়ারাম'-দের তালিকায় কি নয়া সংযোজন হতে চলেছেন সল্টলেক-নিউটাউন-রাজারহাট অঞ্চলের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা? স্রেফ সময়ের অপেক্ষা?
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল থেকে দল ভাঙানোয় বিজেপি-র প্রধান কুশীলবের ভূমিকায় যিনি অবতীর্ণ হয়েছেন প্রত্যাশিতভাবেই, সেই মুকুল রায় হঠাৎই দিনকয়েক আগে সপারিষদ হাজির হন সব্যসাচীর বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল চৰ্চা শুরু হয় বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি সব্যসাচী বিজেপি-র পরবর্তী 'শিকার'?
আরও পড়ুন: ‘মুকুলদা লুচি-আলুর দম খেতে চাইলে কী করব?’
যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়িয়ে পরের দিন সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, "মুকুলদা আমাকে জানিয়ে আসেন নি। জানতাম না, প্রেসকে সঙ্গে এনেছেন। এসে লুচি-আলুর দম খেতে চাইলেন। বাড়িতে এসে কেউ লুচি-আলুর দম খেতে চাইলে কী করব?"
সব্যসাচীর দলবদলের পরিকল্পনা সংক্রান্ত জল্পনায় ইতি পড়েছিল বলেই ধরে নিয়েছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু গত পরশু উত্তর চব্বিশ পরগণায় তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠকে সব্যসাচীর অনুপস্থিতি সেই জল্পনাকে ফের উস্কে দিয়েছে। ফের প্রশ্ন উঠেছে, সব্যসাচীও কি অর্জুনের পথে?
সব্যসাচী চিরদিনই মুকুল-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূলের অন্দরমহলে। মুকুলের লুচি-আলুর দম কাণ্ডকে নেহাতই স্বাভাবিক সৌজন্য বলে মানতে নারাজ তৃণমূলেরই একাংশ। সব্যসাচী দত্তের এক ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, "দাদা এখন জল মাপছেন। বারাসাত লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র হয়ে লড়ার প্রস্তাব এসেছে। শেষ সিদ্ধান্ত দাদাই নেবেন। তবে মুকুলদা তো আর এমনি এমনি আসেন নি।"
এমনি-এমনি এসেছিলেন কিনা সময় বলবে। গেরুয়া রথে পা না-ই দিতে পারেন সব্যসাচী শেষমেষ। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে যা গুঞ্জন ভেসে আসছে, তাতে একটা কথা বোধহয় লিখেই দেওয়া যায়।
পিকচার আভি বাকি হ্যায়!