Advertisment

কংগ্রেসের পরিষ্কার করা রাস্তায় দাঁড়িয়ে অখিলেশের ফেডারেল ফ্রন্ট বন্দনা

‘‘আমরা এখন কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাব। কারণ মধ্যপ্রদেশে আমাদের একজন বিধায়ককে মন্ত্রী বানালেন না...ওরা নিজেরাই রাস্তা সাফ করে দিল।’’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
akhilesh yadav, অখিলেশ যাদব

অখিলেশ যাদব। ছবি: বিশাল শ্রীবাস্তব, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

উনিশের ভোটযুদ্ধে রাহুল গান্ধীকে ‘চাপে’ ফেললেন অখিলেশ যাদব। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ভরাডুবিতে কংগ্রেসকে নিঃশর্তে সমর্থনের ব্যাপারে একসঙ্গে এগিয়ে এসেছিলেন অখিলেশ-মায়াবতীরা। কিন্তু কথা দিয়েও সপা বিধায়ককে মন্ত্রীত্ব দেননি রাহুল গান্ধীরা। যার জেরে স্বভাবতই সুর চড়িয়েছেন অখিলেশরা। শুধু তাই নয়, লোকসভা ভোটে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সাধের ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’-কে কার্যত সমর্থন জানিয়েছেন অখিলেশ। উল্লেখ্য, উনিশে কংগ্রেসকে ছাড়াই একে অপরের হাত ধরছে সপা-বসপা-আরএলডি। যা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সেই জোট জল্পনার পর অখিলেশের মুখে ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ বন্দনা শুনে কংগ্রেস শিবির চাপে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisment

উনিশের নির্বাচনে অকংগ্রেসি ও অবিজেপি জোট গড়তে মরিয়া কেসিআর। চলতি বছরের গোড়া থেকেই সেই বিরোধী ঐক্য গড়তে উঠেপড়ে লেগেছেন টিআরএস নেতা। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে তিনি শীঘ্রই ‘ভাল খবর দেবেন’ বলে জানান কেসিআর। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সেই ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’-কেই এদিন সমর্থন করেছেন অখিলেশ যাদব। এজন্য তিনি হায়দরাবাদে গিয়ে কেসিআরের সঙ্গে দেখা করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। জোট প্রসঙ্গে অখিলেশ বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন দলের নেতারা জোট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন। আশাবাদী যে কোনও না কোনও জোট হবেই।’’

আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশে একসঙ্গে সপা-বসপা-আরএলডি? জোটকে স্বাগত মমতার

বিজেপির পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসকে বিঁধে অখিলেশ বলেছেন, ‘‘আমরা এখন কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাব। কারণ মধ্যপ্রদেশে আমাদের একজন বিধায়ককে মন্ত্রী বানালেন না...ওরা নিজেরাই রাস্তা সাফ করে দিল...আমাদের রাস্তা সাফ করার জন্য দু’দলকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’ এ প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র রাজেন্দ্র চৌধুরি বলছেন, ‘‘সপা বিধায়ককে মন্ত্রীত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। পরে এমন আচরণ অনভিপ্রেত।’’

যদিও অখিলেশের এহেন অবস্থানে এখনও রা কাড়েনি কংগ্রেস। ‘‘আগে আগে দেখো হোতা হ্যায় ক্যয়া’র ঢঙেই পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা বুঝেই তাঁরা এগোতে চান বলে জানিয়েছেন কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এদিকে, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের হাত ধরে হাঁটেনি সপা ও বসপা। এমনকি, বিরোধী দলগুলির বৈঠকেও মুখ দেখায়নি উত্তর প্রদেশের ওই দুই হেভিওয়েট দল। এহেন প্রেক্ষাপটে সপার মতিগতি বুঝতে সমাজবাদী পার্টির দফতরে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা।

Read the full story in English

CONGRESS lok sabha 2019
Advertisment