মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এখন দিল্লির ইঙ্গিতে চলছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিণ্ডেকে বিজেপি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। আর, শিণ্ডেকে সরাতেই বিজেপি নেতারা দিল্লিতে গিয়েছেন। এবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শিবসেনার উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে (এসইউবিটি) সংগঠনের নেতা তথা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। এর আগে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা ছগন ভুজবল দাবি করেছিলেন, মহারাষ্ট্র সরকারে কোনও সংকট নেই। তবে, দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে। ছগন ভুজবলের এই মন্তব্যের পরবর্তী অংশ হিসেবেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর দাবি, বিজেপি মনে করছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের জেরে দলের ক্ষতি হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে শিণ্ডেকে সরাতে মরিয়া বিজেপি।
এই প্রসঙ্গে রাউত বলেছেন, 'ছগন ভুজবল যা বলেছেন, সবটাই ঠিক। আমি তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। দিল্লিতে যা হচ্ছে, সেটা মহারাষ্ট্র সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বদলের চেষ্টা। প্রত্যেকে তার কারণটা জানে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি (শিণ্ডে) বিজেপি যা চেয়েছে, সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যকে চালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর, বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে তাঁর থেকে যা চেয়েছিল, সেই প্রত্যাশা পূরণ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। তারা (বিজেপি) আমাদের সরকারকে ছুড়ে ফেলতে চেয়েছিল। সেই কারণে তারা শিণ্ডেকে ব্যবহার করেছে। সেই কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে যা চেয়েছিল, সেটা অর্জন করতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে বিজেপিকে রাজনৈতিক শক্তি জোগান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপি শিণ্ডের গোষ্ঠীবাজির কারণে নিন্দিত হয়েছে আর হতাশায় ভুগছে। বিজেপি সেটা বুঝতেও পেরেছে।'
আরও পড়ুন- ‘মুসলিম কোটা’ তুলে দেওয়া নিয়ে শাহের হুঙ্কারকে উড়িয়ে ‘বিস্ফোরক’ ওয়াইসি
এর একদিন আগেই সঞ্জয় রাউত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকারের ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পতন ঘটবে। রাউত বলেছিলেন, 'এই সরকার আর বেশিদিন চলবে না। বিজেপি চায় না, বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকার আর বেশিদিন চলুক। এই সরকার যত বেশিদিন চলবে, বিজেপির ততই ক্ষতি হবে। মহারাষ্ট্রে বিজেপিই ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকারের জন্য বিজেপির যে ক্ষতি হচ্ছে, সেটা তারা বুঝতে পেরেছে। এক্ষেত্রে উপায় হল মুখ্যমন্ত্রীর রদবদল। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বদলালে সরকারও বদলে যাবে।' রাউত জানিয়েছেন, এই সব জানার পর শিণ্ডেও রীতিমতো উদ্বেগে আছেন। এই প্রসঙ্গে রাউত বলেন, 'তাঁর (শিণ্ডে) উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে জানতে চাওয়া উচিত, যে এসব কী চলছে!'