নাম না করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে সম্প্রতি একহাত নিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। তাঁর মতে, গুজরাতের নর্মদা জেলায় যে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশালকায় মূর্তি অর্থাৎ 'স্ট্যাচু অফ ইউনিটি' শিগগিরই উদ্বোধন হতে চলেছে, তার পাদদেশে ১৯৪৮ সালে জারি করা সর্দার প্যাটেলের অর্ডার রেখে দেওয়া উচিত, যার মাধ্যমে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পুণাতে মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, ওই অর্ডার জনসাধারণকে বুঝতে সাহায্য করবে, ঠিক কী চোখে আরএসএস-কে দেখতেন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
"ওদের (আরএসএস-বিজেপির) নিজস্ব কোনও হিরো নেই, তাই ওরা সর্দার প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি বানাচ্ছে, তাও কী না চিনে তৈরি," বলেন শর্মা। "১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পর প্যাটেল একটি লিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন...সেই আদেশের কপি মূর্তির পায়ের কাছে রেখে দেওয়া উচিত, যাতে দেশের মানুষ জানতে পারেন প্যাটেল তাদের সম্বন্ধে কী ভাবতেন।" যদিও কংগ্রেস নেতা আরএসএস-এর নাম করেন নি, তাঁর সম্ভাব্য ইঙ্গিত অবশ্যই ওই সংগঠনের দিকে, যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পরে তুলে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-কে ঘিরে পর্যটন শিল্পে জোর গুজরাতের
এর পাশাপাশি শর্মা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, যে তারা রাফালে ডিলের কারচুপি নিয়ে একটা বিশাল "ধোঁকার টাটি" খাড়া করছে। "রাফালে স্ক্যাম লুকোনোর জন্যে বিশাল ধোঁকার টাটি খাড়া করা হচ্ছে, যে কারণে আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করছি যাতে এই ডিল সংক্রান্ত সমস্ত ফাইল এবং অন্যান্য নথি সিল করা কভারের মধ্যে রাখা হয়।"
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও প্রশ্ন তোলেন, কী হিসেবে জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে নবনির্মিত স্ট্র্যাটেজিক পলিসি গ্রুপের প্রধান করা হলো, ক্যাবিনেট সচিবকে না করে। "এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্যাবিনেট সচিব, তিন সামরিক প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, বিদেশ সচিব, রাজস্ব সচিব, এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো প্রধান ও RAW এর প্রধান, সবাই জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টার অধীনে চলে আসছেন, যা কিনা নিতান্তই রাজনৈতিক একটি পদ।" দোভালের কার্যকালে "মালদ্বীপের মতন বন্ধু রাষ্ট্র পর্যন্ত ভারতের প্রভাবমুক্ত হয়ে গেছে", এবং "পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্বের কথা তো সর্বজনবিদিত", বলেন শর্মা।
"দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। এই এতজন বিভাগীয় প্রধান, প্রশাসন, সবাই একজন রাজনৈতিক পদাধিকারীর অধীনস্থ হতে পারেন না," বক্তব্য কংগ্রেস নেতার।