গত পরশু ফ্যানপেজের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানিয়েছিলেন, আজ তাঁর কেন্দ্রের ভোটারদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। কথা রেখেছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। স্পষ্ট করেই পোস্টে উল্লেখ, শতাব্দী রায় তৃণমূলের থাকছেন। একই সঙ্গে বাংলার স্বার্থে গোটা তৃণমূল পরিবারের এক হয়ে লড়াই করার গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে ফেসবুকেই ফের সুরে বেজে উঠলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী।
এদিন ফেসবুক পোস্টে কী জানিয়েছেন শতাব্দী রায়?
পোস্টে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরুর দিনগুলির কথা যেমন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শতাব্দী, তেমনই তাঁর কথা শোনার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, 'তৃণমূল কংগ্রেস আবার জিততে চলেছে। আমি দলের সৈনিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করে যাব।'
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই কাজ করতে দলের মধ্যে থেকেই বাধা আসছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তৈরি হয়েছিল তাঁর দলত্যাগের জল্পনা। এরমধ্যেই শুক্রবার তিনি জানিয়েছিলেন শনিবার দিল্লি যাবেন তিনি। দেখা হতে পারে অমিত শাহের সঙ্গে। আর তাতেই শতাব্দী রায়ের বিজেপিতে যোগদানের চর্চা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
বীরভূমের সাংসদকে দলে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূলও। সৌগত রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় শতাব্দীর। কুণাল ঘোষ সাংসদের বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করেন। শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুব তৃণমূল সভাপতির ক্যামার স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শতাব্দী রায়। আর তাতেই জট কাটে। সুর নরম হয় তৃণমূল সাংসদের। শতাব্দী জানিয়ে দেন, আজ, অর্থাৎ শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি। ক্ষোভও প্রশমিত হয়েছে। আগামী বিধানসভায় এক জোটে তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ের ঝাঁপানোর ঘোষণা করেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন