‘যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা অত্যাচারের ঘটনাও লজ্জার।’ বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের হাঁসখালি নিয়ে মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। যার প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলেছেন জোড়া-ফুলের আরেক সাংসদ শতাব্দী রায়। দমদমের সাংসদের কথাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তৃণমূলও। যা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্যেই স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে গিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানেই তিনি হাঁসখালি নিয়ে সৌগত রায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দেন। বলেন, 'আমি সৌগতদার সঙ্গে এক মত নই। কারণ, এটা মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় নয়। এমন যে কোনও ঘটনাই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা? কোনও সরকার, কোনও মন্ত্রী কি চাইবে এটা? যাঁদের মানবিকতা আছে তাঁরা কেউই এমন ঘটনা চাইবেন না। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী মহিলা বলে মহিলা ধর্ষিত হবেন না এটা ব্যাপার নয়। কোথাও কোনও সরকারের পুরুষ-নারী নির্বিশেষে যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হন না কেন, কেউই চাইবেন না যে, এমন ঘটনা ঘটুক। এটা লজ্জার, দুঃখের এবং কষ্টের।'
সৌগত রায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন যে, 'কোন প্রেক্ষিতে উনি এ কথা বলেছেন তা আমার জানা নেই। আমি তা নিয়ে মন্তব্য করব না। এর সঙ্গে পুরুষ বা মহিলার কোনও সম্পর্ক নেই। সমাজে পুরুষ, মহিলা সকলেই আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরণের ঘটনা চান না। উনি তো রং না দেখে গ্রেফতার করতে বলেছেন। পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওঁর আর কী করতে পারতেন? সামাজিক ব্যাধি থেকে দু-একটি এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা অনভিপ্রেত।'
দক্ষিণেশ্বরে একটি সরকারি কর্মসূচিতে এ দি হাঁসখালি নিয়ে সৌগত রায় বলেছিলেন যে, 'মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে সকলেই চিন্তিত। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স করতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব বরদাস্ত করা যাবে না। যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা অত্যাচারের ঘটনাও লজ্জার। আশা করব, পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে নজর রাখবেন।'
প্রসঙ্গ হাঁসখালি: সৌগত রায়ের সঙ্গে দ্বিমত শতাব্দীর, 'মুখ্যমন্ত্রী আর কী করবেন'- প্রশ্ন কুণালের
সৌগত রায়কে এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল? শতাব্দী, কুণালের বক্তব্যে তা নিয়েই জল্পনা।
Follow Us
‘যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা অত্যাচারের ঘটনাও লজ্জার।’ বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের হাঁসখালি নিয়ে মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। যার প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলেছেন জোড়া-ফুলের আরেক সাংসদ শতাব্দী রায়। দমদমের সাংসদের কথাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তৃণমূলও। যা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্যেই স্পষ্ট।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে গিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানেই তিনি হাঁসখালি নিয়ে সৌগত রায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দেন। বলেন, 'আমি সৌগতদার সঙ্গে এক মত নই। কারণ, এটা মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় নয়। এমন যে কোনও ঘটনাই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা? কোনও সরকার, কোনও মন্ত্রী কি চাইবে এটা? যাঁদের মানবিকতা আছে তাঁরা কেউই এমন ঘটনা চাইবেন না। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী মহিলা বলে মহিলা ধর্ষিত হবেন না এটা ব্যাপার নয়। কোথাও কোনও সরকারের পুরুষ-নারী নির্বিশেষে যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হন না কেন, কেউই চাইবেন না যে, এমন ঘটনা ঘটুক। এটা লজ্জার, দুঃখের এবং কষ্টের।'
সৌগত রায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন যে, 'কোন প্রেক্ষিতে উনি এ কথা বলেছেন তা আমার জানা নেই। আমি তা নিয়ে মন্তব্য করব না। এর সঙ্গে পুরুষ বা মহিলার কোনও সম্পর্ক নেই। সমাজে পুরুষ, মহিলা সকলেই আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরণের ঘটনা চান না। উনি তো রং না দেখে গ্রেফতার করতে বলেছেন। পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওঁর আর কী করতে পারতেন? সামাজিক ব্যাধি থেকে দু-একটি এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা অনভিপ্রেত।'
দক্ষিণেশ্বরে একটি সরকারি কর্মসূচিতে এ দি হাঁসখালি নিয়ে সৌগত রায় বলেছিলেন যে, 'মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে সকলেই চিন্তিত। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স করতে হবে। কোনও ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব বরদাস্ত করা যাবে না। যে রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে একটা অত্যাচারের ঘটনাও লজ্জার। আশা করব, পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে নজর রাখবেন।'