মরু রাজ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত। বহু নাটকের পর ১৪ অগাস্ট থেকে শুরু হবে বিধানসভা অধিবেশন। আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবে কংগ্রেস সরকার। তার আগে বিধায়কদের চিঠি লিখে 'সত্য' ও 'গণতন্ত্রের' পক্ষে থাকার আহ্বান জানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
এ দিন দল মত নির্বিশেষ সব দলের বিধয়কদের চিঠি দেন অশোক গেহলট। রাজ্যের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বার্থে বিধায়কদের সহযোগিতার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে উল্লেখ, 'প্রচোলিত ভুলের ঐতিহ্য ভেঙে মানুষের কথা শুনে তাঁদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করুন। গণতন্ত্রকে বাঁচান।' ওই চিঠিতেই গেহলট লিখেছেন, 'যে দলের নির্বাচিত বিধায়কই আপনি হোন না কেন, ভোটারদের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচিত সরকার কীভাবে রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখবেন।' কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা সফল হবে না বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির মধ্যেই বিজেপি তাদের আধ ডজন বিধায়ককে গুজরাটের পোরবন্দরে রেখেছে। গেহলট শিবিরের কংগ্রেস বিধায়করা রয়েছেন জয়সলমেরের হোটেলে।
এর মধ্যেই শচিন পাইলটের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের দলে স্বাগত জানাতে বলে জানিয়েছিলেন গেহলট। তিনি বলেছিলেন, যদি কংগ্রেস হাইকমান্ড বিদ্রোহীদের ক্ষমা করে দেন, তাহলে তাঁদের তিনি স্বাগত জানাবেন। দলীয় হুইপ জারি হলেই আসন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন শচিন পাইলট শিবিরের কংগ্রেস বিধায়করা। বল্লাভাবনগরের বিধায়ক গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের এই ঘোষণাতেই মরু রাজ্যের রাজনীতিতে ফের ঝড়ের আভাস। শচিন নীরবতা বজায় রাখলেও সরকার বাঁচাতে নতুন করে অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। নিজের নাক কেটে শচিন অপরের যাত্রাভঙ্গ করতে পারেন বলেই মনে করছে গেহলট শিবির।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন