তৃণমূলের বহু নেতা-নেত্রীর ছেলে-মেয়েই এবার কলকাতা পুরভোটে লড়াইয়ের টিকিট পেয়েছেন। আবার অনেকেই পাননি। এঁদের মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য নাম, সৌম্য বক্সি, শ্রেয়া পাণ্ডে, সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ খড়দহের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব। সামাজিক মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে পুর-যুদ্ধে দলীয় টিকিট না পাওয়াতেই তাঁর ওই টুইট।
শনিবার টুইট পোস্টে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, 'যখন ওঁদের প্রয়োজন পড়েছিল তাঁর আত্মত্যাগ, তখন ওঁরা আশ্বস্ত করেছিলেন। যখন আত্মত্যাগ সারা— তখন ওঁরা বললেন, এখনও সময় আসেনি। যত ক্ষণ না আপনার সময় আসছে, অন্যের জন্য হাততালি দিতে থাকুন।'
টুইটে সরাসরি কাউকে নিশানা করেননি শোভনপুত্র। তবে মনে করা হচ্ছে, দলের তরফে আসন্ন কলকাতা পুরনির্বাচনে টিকিট না মেলাতেই তাঁর এই পোস্ট।
কেন এমন লিখলেন সায়নদেব? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাবা শোভদেব চট্টোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথী। দলের শুরুর দিনের বিধায়ক। পরে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও প্রথম মন্ত্রিসভায় তাঁকে ঠাঁই দেননি মমতা। মুখ্য সচেতন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় মমতা মন্ত্রিসভায় বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্বভার সামলেছেন। একুশের বিধানসভা ভোটে দলনেত্রী নন্দীগ্রামে লড়লে তাঁর খাসতালুক ভবানীপুরে ভোটে লড়াই করে জেতেন শোভনদেব। পরে অবশ্য শোভনদেববাবু বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। সেই আসন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে জেতেন। খড়দহ থেকে উপনির্বাচন জেতেন কৃষিমন্ত্রী।
ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে বাবা শোভনদেবের এই বার বার আত্মত্যাগকেই হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন সায়নদেব। এরপরও নিজের টিকিট না মেলায় অসন্তুষ্ট সায়নদেব। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন