SC allows Pawar faction to use ‘NCP-Sharadchandra Pawar’ name: ভাইপোর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না শরদ পাওয়ার। নির্বাচন কমিশন তাঁর দলকে অন্য প্রতীক দিল। পাশাপাশি, নির্বাচনে দলের পুরোনো নামের সঙ্গে শরদ পাওয়ার নামজুড়ে ভোটে লড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পশ্চিমের রাজ্য মহারাষ্ট্রের যখন এই হাল, তখন দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে গিয়ে বিজেপির জোর বাড়ানোর জন্য জোরদার চেষ্টা চালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এজন্য জনসভায় বিরোধী ডিএমকের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন। পাশাপাশি, টেনে আনলেন জয়ললিতার প্রসঙ্গও।
শরদ পাওয়ারকে সুপ্রিম সহায়তা
লোকসভা নির্বাচনের জন্য শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীকে 'ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি-শরদচন্দ্র পাওয়ার' নাম ব্যবহার করার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত এই অনুমতি দিয়েছে। লোকসভার পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও পাওয়ার গোষ্ঠী এই নাম ব্যবহার করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশর পরই মঙ্গলবার তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও কেভি বিশ্বনাথনের একটি বেঞ্চ প্রবীণ রাজনীতিক শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে যুদ্ধের ফুঁ দেওয়া সানাইমার্কা বাদ্যযন্ত্র 'তুরহা' ব্যবহার করারও অনুমতি দিয়েছে।
শরদ পাওয়াররাই গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে
সুপ্রিম কোর্টের কাছে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী আবেদন করেছিল যে, অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে যেন লোকসভা নির্বাচনে 'ঘড়ি' প্রতীক দেওয়া না হয়। এই ব্যাপারে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কারণ, নির্বাচন কমিশন আগেই অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে প্রতীক হিসেবে ঘড়ি বরাদ্দ করেছে। যার ফলে এনসিপির দীর্ঘদিনের ঘড়ি প্রতীক এখন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর কাছে। এই পরিস্থিতিতে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর জন্য 'তুরহা' প্রতীক বরাদ্দ করে শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অন্য কোনও দলকে 'তুরহা' প্রতীক বরাদ্দ করা না হয়।
আরও পড়ুন- ভারতের থেকে অরুণাচল ছিনিয়ে নেওয়ার ফন্দি চিনের, কড়া অবস্থান মোদী সরকারের
ডিএমকে-কংগ্রেস মুদ্রার দুই পিঠ, অভিযোগ মোদীর
মহারাষ্ট্রের যখন এই পরিস্থিতি, সেই সময় দেশের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে গিয়ে স্টালিনের দল ডিএমকেকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সালেমের নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, 'ডিএমকে এবং কংগ্রেস সমান দুর্নীতিপরায়ণ। দুই দলই পারিবারিক শাসনে বিশ্বাস করে। আসলে এই দুটো দল, একই মুদ্রার দুটি পিঠ। দেশ কংগ্রেস থেকে মুক্তি পেয়ে ৫জি প্রযুক্তিতে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, তামিলনাড়ু ডিএমকের শাসনে থাকায় এখানে ৫জি মাইনাস ওয়ান প্রযুক্তি চলছে। আর, এখন তামিলনাড়ুতে শাসক পরিবারের পঞ্চম প্রজন্ম ক্ষমতায় বসার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রয়াত জয়ললিতার সঙ্গে এই ডিএমকে কেমন আচরণ করেছিল, তা সবাই জানে। এটাই ডিএমকের আসল চেহারা।'