মহারাষ্ট্র রাজনীতির জট আরও ঘনীভূত। শিবসেনার সাম্প্রতিক সংকট মেটার কোনও নামগন্ধ নেই। ইতিমধ্যেই উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের হলফনামা জমা দিয়েছে। সেই হলফনামার ওপর নতুন করে হলফনামা জমা দিতে শিণ্ডে শিবিরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শিবসেনায় বিভাজন, যুক্ত হয়ে যাওয়া, দলত্যাগ এবং অযোগ্যতা ইস্যুতে শুনানি চলেছে।
সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শিবসেনা ও দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের দায়ের করা আবেদনের শুনানি চলছে। সেই মামলাতেই শিণ্ডে শিবিরকে নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল উদ্ধব গোষ্ঠীর হয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, যে বিধায়করা শিণ্ডে গোষ্ঠীর পক্ষে আছেন, তাঁরা কেবলমাত্র অন্য দলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েই নিজেদের বিধায়কপদ বাঁচাতে পারেন। না-হলে দশম তপশিলের অধীনে তাঁদের বিধায়কপদ খারিজ হয়ে যেতে পারে।
বিচারপতি রমনার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী। তাঁদের কাছে এই দাবি করেছেন সিবাল। তিনি বলেন, 'আপনি একবার নির্বাচিত হয়ে গেলেন, তার মানে এই নয় যে আপনার সঙ্গে সেই রাজনৈতিক দলের নাড়ির যোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। অথবা আপনার সেই রাজনৈতিক দলের হয়ে কিছুই করার নেই।'
আরও পড়ুন- হরিয়ানা কংগ্রেসে বড় ভাঙন, ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন বিধায়ক
প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে আবার শিণ্ডে গোষ্ঠীর হয়ে সওয়াল করেছেন। সালভে জানিয়েছেন, যে নেতারা তাঁদের সদস্যদের কাছে আর গ্রহণযোগ্য নন, তাঁরা কিছুতেই দলত্যাগ বিরোধী আইনকে কাজে লাগাতে পারেন না। একইসঙ্গে সালভে জানান, বাস্তবটাও বিবেচনা করতে হবে। এই বিধায়করা কেউ স্বেচ্ছায় তাঁদের রাজনৈতিক সদস্যপদ ছাড়েননি। এটা কোনও দলত্যাগের মামলাই না। এটা পার্টির অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের ঘটনা। এই বিধায়করা কেউ স্বেচ্ছায় তাঁদের দলীয় সদস্যপদ ছাড়েননি।
হলফনাগুলো শোনার পর বেঞ্চ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। হরিশ সালভেকে নতুন করে মামলার আইনি প্রশ্নগুলো তথা হলফনামা তৈরি করতে আদালত নির্দেশে দিয়েছে। একইসঙ্গে, বৃহস্পতিবার প্রথম বিষয় হিসেবে এই মামলাকেই গ্রহণ করা হবে বলেই জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
Read full story in English