/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/abhishek-banerjee.jpg)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সুপ্রিম কোর্ট সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলেকে জামিন দিয়েছে। ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেফতার করেছিল। ইডি আদালতকে জানিয়েছে যে গোখলে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ১ কোটিরও বেশি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহার করেছেন, 'ওয়াইনিং অ্যান্ড ডাইনিং', শেয়ার বাজারে ইন্ট্রা-ডে ট্রেডিং এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিত্সার পিছনে। ইডি আরও দাবি করেছে যে গোখলে তাদের বলেছেন যে তিনি কংগ্রেসের কাছ থেকে ২৩.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
ইডির দাবি, গোখলে তাঁদের বলেছেন যে 'সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ এবং অন্যান্য পরামর্শের জন্য' কংগ্রেসের পক্ষে একজন শংকর সোয়াই তাঁর অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করেছেন। একইসঙ্গে অবশ্য ইডি জানিয়েছে যে এই টাকা গোখলের অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের নভেম্বরে জমা হয়েছিল। সেই সময়, অর্থাৎ সেই বছরের আগস্টেই গোখলে টিএমসিতে যোগ দিয়ে ফেলেছিলেন।
ইডির রিমান্ড আবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ এবং ২০২১ সালের মধ্যে গোখলে তাঁর জনস্বার্থমূলক কর্মকাণ্ডে তহবিল চালানোর জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ourdemocracy.in-এর মাধ্যমে তিনটি ক্রাউডফান্ডিং প্রচারাভিযান চালান— 'FightWithRTI', 'SaketVersusModi' এবং 'JusticeForSuhasGokhale'। এইগুলো ৮০ লক্ষ টাকার বেশি তহবিল তৈরি করেছিল। আর, সাকেত গোখলের অ্যাকাউন্টে নগদ ২৩.৫৪ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল।
আরও পড়ুন- ফের মহারাষ্ট্রে দলবদল? অজিত পাওয়ারের কর্মসূচি বাতিল ঘিরে তীব্র জল্পনা!
ইডি আদালতকে আরও জানিয়েছে যে গোখলে ৪০০টি আরটিআই আবেদন করেছেন। যার জন্য তাঁর খরচ হয়েছে মাত্র ৪,০০০ টাকা। সংগৃহীত তহবিলের কিছু অর্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলার জন্যও ব্যবহার করা হয়েছিল। ইডির অভিযোগ, গোখলে তার ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য সংগৃহীত তহবিলের ৩০ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন। যার মধ্যে 'মদ কেনা, আসবাব কেনা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচও' অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শুধু তাই নয়, ২ কোটি টাকার কাছাকাছি লেনদেন-সহ তহবিলের একটা বড় অংশও ইন্ট্রা-ডে ট্রেডিংয়ের জন্য স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেই আদালতে ইডি জানিয়েছে। ইডির দাবি, গোখলে তাঁর বিবৃতিতে ইডিকে বলেছেন যে এতে তাঁর ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আর, এই সব কারণে গোখলে তাদের হেফাজতে চাইছিলেন ইডি কর্তারা। কিন্তু, আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।