Advertisment

মধ্যপ্রদেশে আস্থাভোট আইনানুগ, সুপ্রিম ধাক্কার মুখে কমলনাথের কংগ্রেস

পরিস্থিতি বিচারে রাজ্যপাল লালজি ট্যানডন সঠিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই রায়ে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে রাজ্যপালের আস্থা ভোটের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান কমলনাথ। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। পরিস্থিতি বিচারে রাজ্যপাল লালজি ট্যানডন সঠিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই রায়ে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের রায়ের ফলে স্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ওয়াই এস চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৬৮ পাতার রায়ে জানিয়েছে যে, 'পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যপালের নির্দেশ সঠিক'। এক্ষেত্রে আদালত ১৯৯৪ সালের বিচারপতি বোম্মাইয়ের একটি রায় উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, কোনও মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভোট এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টিই প্রথামিকভাবে প্রমাণ করে যে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন।

গত মাসে কংগ্রেসের ২২ বিধায়ক পদত্যাগের পরই কার্যত সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল কমলনাথ সরকার। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে ১১৪ আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। এসপি. বিএসপি ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থনে সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান কমলনাথ। বিজেপি জিতেছিল ১০৯ আসন।

আরও পড়ুন: সুখবর, গত সপ্তাহে ভারতজুড়ে কমেছে করোনার কামড়

তবে, ১৫ বছর পর ক্ষমতায় ফিরলেও মাত্র ১৫ মাস স্থায়ী হয় কংগ্রেস সরকার। দলত্যাগী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী ২২ কংগ্রেস বিধায়র পদত্যাগ করেন। আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন ২ বিধায়ক। বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২০৬-এ। নিশ্চিত পরাজয় বুঝেই আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। মধ্যপ্রদেশের মসনদে ফের বসেন শিবরাজ সিং চৌহান।

মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারানোকে বিজেপির রাজনৈতিক যড়যন্ত্র বলে মনে করছে হাত শিবির। কেন কংগ্রেসের ২২ বিধায়ককে ব্যাঙ্গালুরুতে রাখা হল তানিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতৃত্ব। পদত্যাগী বিধায়কদের 'বিশ্বাসঘাতক' বলে দেগে দিয়েছে কংগ্রেস।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

supreme court bjp CONGRESS Madhya Pradesh
Advertisment