Advertisment

শীর্ষ আদালতের রায়ের পর কী হবে ভাঙড়ের জমি কমিটির পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যের?

পঞ্চায়েত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে ভাঙড়ের হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিয়ে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

(ফাইল ফোটো)

পঞ্চায়েত মামলায় সুপ্রিম রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তবে অন্য দিকে হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিয়ে নজর কাড়া ভাঙড়ের পাঁচ জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। তাই নিয়েই এখন ভাঙড়ের মানুষের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। ওই জেতা প্রার্থীরা কি থেকে যাবেন? না, তাঁদের মনোনয়ন বাতিল হবে?‌ এলাকার মানুষের মনে এখন এই প্রশ্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল হিসাবে জেতা এই প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভোটে তাঁদের মনোনয়ন 'হোয়াটস্অ্যাপে'‌ জমা করেছিলেন।

Advertisment

অবশ্য এ বিষয়ে জমি কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের মনোনয়ন পত্র নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও কিছু বলেনি, সুতারাং আমাদের জয়ী প্রার্থীরা থাকছেন। তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে কোন প্রশ্ন চিহ্ন নেই।"

এবার ভাঙড়ে বিদ্যুৎ সাব স্টেশন বিরোধী জমি কমিটি হয়ে নির্দল প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিয়েছিলেন। তারা ১ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবং ৭ টি পঞ্চায়েত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার মধ্যে পোলের হাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ টি আসনে জমি কমিটির নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে।

এদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দেওয়া রায়ে ই–মেল ও হোয়াটস্অ্যাপে মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয় বৈধতা পায় নি বলে খবর।  ভাঙড়ের জমি কমিটির হয়ে জেতা নির্দল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে এদিন ভাঙড়ের বুকে জোর জল্পনা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙড় ২ নং ব্লকের বিডিও কৌশিক কুমার মাইতি বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দিয়েছে তার উপরে বিষয়টা নির্ভর করছে। যদি রায়ে হোয়াটসঅ্যাপ মনোনয়ন বৈধ না হয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে রকম পদক্ষেপ নেবে সে অনুসারে কাজ হবে।"

জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোশারেফ হোসেন বলেন, তাঁদের প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্পূর্ণ আশাবাদী।

এ বিষয়ে মাছিভাঙা গ্রামের জয়ী প্রার্থী ইসরাফিল মোল্লা বলেন, "আদালতের নির্দেশে আমাদের মনোনয়ন গৃহীত হয়েছিল। আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছি। আমরা সুষ্ঠু ভাবে এলাকার উন্নয়ন সহ সামাজিক কাজ করতে চাই।"

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানাল তৃণমূল, শুক্রবারই জারি বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি

ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী জমি আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দিয়ে সামনে থেকে লড়াই করে তারা পাঁচটি আসনে জয় ছিনিয়ে নেয়। তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বে বিডিও অফিস সহ জেলা শাসকের অফিসে গিয়ে আক্রান্ত হন প্রার্থী ও প্রস্তাবকরা। তার পরই আদালতের নির্দেশ হোয়াটসঅ্যাপে ভাঙড় ২ নং ব্লকের বিডিও কে মনোনয়ন পত্র জমা দেন জমি কমিটির সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশ আটটি আসনে মনোনয়ন গৃহীত হলে তারা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কে হারিয়ে পাঁচটি আসনে জয়লাভ করেন।

পঞ্চায়েত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে ভাঙড়ের হোয়াটসঅ্যাপে মনোনয়ন জমা দিয়ে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে আমাদের কিছু যায় আসেনা, সুপ্রিম কোর্ট যদি পুরোটাই বাতিল করত ভালো হতো, পুরো অঞ্চলটাই আমাদের কব্জাই রাখা যেত।" তিনি আরও বলেন, পোলেরহাট ২ এলাকার উন্নয়ন সহ অন্যান্য বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, মানুষ এখানে শেষ কথা বলবে।" তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, "কাদের নির্বাচন ও মনোনয়ন বৈধ আর কাদেরটা অবৈধ তা আমার কাছে এখনও পরিষ্কার নয়।"

Bhangar panchayat election
Advertisment