গুজরাটের মোট ৩৫ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়ছে। পুলিশ জানিয়েছে তাঁরা জোর করে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির গান্ধীনগরের অফিসে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। ছোট ও মাঝারি স্থানীয় সংবাদপত্রের ওই সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা সরকারের বিজ্ঞাপন নীতির বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গান্ধীনগর পুলিশের এস পি ময়ূর চাভডা জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অল্প কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর দফতরের বাইরে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিশাল সংখ্যক সাংবাদিকরা জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেন, যে কারণে তাঁদের আটক করা হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা।
এস পি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞাপন নীতিতে সরকার যে বদল এনেছে, তার প্রতিবাদ জানাতেই সাংবাদিকরা মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। আটক ব্যক্তিদের ঘণ্টাখানেক পরেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এক স্থানীয় সাংবাদিক জানিয়েছিলেন, অনশনরত হার্দিক প্যাটেলের বাড়ির বাইরে সংবাদকর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক পুলিশি হামলার বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ দোশি এই ইস্যুতে সরকারকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, রাজ্যের বিজেপি সরকার সাংবাদিকদের কী চোখে দেখে। তিনি বলেন, ‘‘হার্দিক প্যাটেলের বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়েছে তা জানা সত্ত্বেও সরকার বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন মনে করেনি। এ থেকেই স্পষ্ট গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের প্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিজেপি সরকার বিরূপ মনোভাব পোষণ করে।