NCP সংকটে রাজ্যে শক্তি বাড়াতে তৎপর কংগ্রেস। এনসিপি বিদ্রোহের পর মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সামনে দুটি বিকল্প খোলা রয়েছে। একদিকে দল রাজ্যে আগের মত শক্তিশালী হওয়ার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চায় এবং অন্যদিকে এনসিপি এবং শিবসেনার সঙ্গে ২৪-এর লড়াইয়ে জোটের পথও খোলা রেখেছে দল।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার পর এনসিপি-র বিদ্রোহ। রাজনৈতিক সংকটে মহারাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রের প্রায় ৩০ জন বড় সঙ্গে বৈঠক করেন দলের হাইকমাণ্ড। রাজ্য কংগ্রেস নেতারা সংখ্যার ভিত্তিতে বিরোধী দলের নেতা পদের জন্য দাবি করেছেন, কিন্তু সূত্রের মতে, কংগ্রেস হাইকমান্ড এই বিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে নেতাদের নিষেধ করেছে।
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদের সাথে একটি বৈঠকের পরে, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। দল ভেঙে সরকার গড়ার এবং বিধায়ক কেনা-বেচা ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেছেন তিনি। এনসিপির বিরোধের পর থেকে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক তাপমাত্রা বেড়েছে। এদিকে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দিল্লিতে বৈঠক করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নানা পাটোলে, পার্টির রাজ্য ইনচার্জ এইচকে পাতিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানকে এবং প্রবীণ নেতা মুকুল ওয়াসনিক সহ আরও একাধিক নেতা।
বৈঠকের ছবি শেয়ার করে খড়গে টুইট করেছেন, “বিজেপি তার ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রের আত্মসম্মানে আঘাত করার কাজ করেছে। কংগ্রেস দল এই রাজনৈতিক জালিয়াতির সমান জবাব দেবে। তিনি লিখেছেন বিজেপির এই নোংরা রাজনীতির কড়া রাজনৈতিক জবাব দেবে মহারাষ্ট্রের মানুষ’।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন ‘আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা, মহারাষ্ট্রের জনগণ তাদের পছন্দের সরকার আবার ফিরে পাবে। আমরা সবসময় মহারাষ্ট্রের মানুষের মনে আমাদের জায়গা ধরে রেখেছি। আমরা মহারাষ্ট্র এবং কংগ্রেসের মধ্যে গৌরবময় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করব’।
কী বললেন রাহুল গান্ধী?
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্র কংগ্রেস দলের শক্ত ঘাঁটি। এখানে দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। মহারাষ্ট্রে, আমাদের ফোকাস কংগ্রেস দলকে শক্তিশালী করা এবং জনগণের হয়ে আওয়াজ তোলা। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষমতায় বসে থাকা গণবিরোধী সরকারকে পরাজিত করব’।
বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে?
বৈঠকের পরে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সাথে কথা বলার সময়, কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে বলেছেন যে কংগ্রেস আগামী নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হবে কারণ আমাদের উপস্থিতি ব্যাপক আকারে রয়েছে। আজও মানুষ তা মেনে নিয়েছে।
অন্যদিকে, দলের নেতা বালাসাহেব থোরাত এএনআইকে বলেছেন যে বৈঠকে মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতার (এলওপি) বিষয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি’।
সম্প্রতি এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার এবং আরও আটজন বিধায়ক একনাথ শিন্ডের সরকারে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তিনি দলের নাম ও নির্বাচনী প্রতীকের ওপর তার দাবি তুলে ধরেন। মহারাষ্ট্র সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন অজিত পাওয়ার।