সব রাজ্যেই বিজেপি অস্তিত্ব হারিয়েছে তা প্রমাণ করল সেমিফাইনাল। ২০১৯ সালের ফাইনাল ম্যাচের জন্য এদিনের ফলই সুস্পষ্ট গণতান্ত্রিক ইঙ্গিত। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে বিজেপির বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলতেই গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে এই ভাষাতেই টুইট ময়দানে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও দাবি, মানুষই চিরকাল 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' এবং এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।
বর্তমান ভারতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান অনস্বীকার্য। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জনতার রায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বইতে শুরু করেছে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে। মধ্যপ্রদেশে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালাচ্ছে হাত-পদ্ম, দুই শিবিরই। অন্যদিকে, নিজের গড় অটুট রাখার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় স্তরে অ-বিজেপি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের অন্যতম মুখ কে. চন্দ্রশেখর রাও। আর এই ফলাফলেই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত তৃণমূল সুপ্রিমো। পড়ুন- Assembly Election Results 2018 Live
মঙ্গলবারের ফলাফলের প্রাথমিক আভাস দেখে এ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রথম টুইটে মমতা লিখেছেন, "মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এটাই গণরায় এবং দেশবাসীর জয়"।
নোট বাতিল-সহ রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যবহারের অভিযোগে বরাবরই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমে নাগরিকপঞ্জির প্রাথমিক খসড়ায় লক্ষাধিক মানুষের নাম বাদ যাওয়াতেও গর্জে উঠেছেন মমতা। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলের আভাস দেখে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট, "গণতন্ত্রের জয় এবং অবিচার, অত্যাচার, দেশের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, দরিদ্র ও কৃষকদের কথা না ভাবা, মানুষের জন্য কাজ না করার বিরুদ্ধে জয়"।
আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে আশাতীত সাফল্যের আভাস কংগ্রেসের, বিএসপিকে ছাড়াই সরকার গড়ার সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবারই দিল্লিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক অনুষ্ঠীত হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে হঠানোর নীল নক্সা তৈরি করতেই এই বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।