আদর্শগত বিরোধ ভুলে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার পথে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস। আপাতত তিন দলের নজরেই সাধারণ প্রতিপক্ষ বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করা। কিন্তু, দলের এই অবস্থান মেনে নিতে পারেননি শিবসেনার এক নেতা। আদর্শের তাড়নায় দল ছাড়লেন তিনি। টুইটে শিবসেনা থেকে ইস্তফার ঘোষণা করেছে রমেশ সোলাঙ্কি নামের ওই নেতা।
আরও পড়ুন: পোর্টফোলিও বন্টন ইস্যুতে আজই পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্বের
শিবসেনার যুব সংগঠনের নেতা হিসাবে কাজ করতেন রমেশ সোলাঙ্কি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য শিবসেনাকে অভিনন্দন। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে শুভেচ্ছা। কিন্তু আমার নীতি ও আদর্শ কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেয় না। তাই দলে থাকতে পারলাম না। এভাবে থাকলে শুধু দল নয়, নিজের পদ, আমার সহকর্মী শিব সৈনিকরা এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে আমার সমস্যা হত।'
দল ছাড়া বিষয়টিকে জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত বলে টুইটারে জানিয়েছেন রমেশ। একাধিক পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯২ সাল থেকে শিবসেনার সঙ্গে তিনি ছিলেন। মুম্বই মহারাষ্ট্র ও হিন্দুস্তানের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য উদ্ধব পুত্র আদিত্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোলাঙ্কি। রমেশ বলেছেন, 'বালাসাহেবের শিব সৈনিকরা সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবেন।'
বহু টানাপোড়েনের শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি জোটের সরকার চূড়ান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের। সম্ভবত আগামিকালই শপথ নেবে আগাড়ি জোটের সরকার। তিন দলের পক্ষ থেকে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। আদর্শগত ক্ষেত্রে দুই মেরুর দল কংগ্রেস ও শিবসেনা। তবে, বিজেপিকে হটানোর লক্ষ্য নেই আপাতত কাছাকাছি তিন দল। সরকার চালানোর ক্ষেত্রে সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী ও সেনা প্রধান উদ্ধব জানিয়েছেন, 'যাদের সঙ্গে ৩০ বছরের জোট ছিল তারা আমাকে বিশ্বাস করতে পারেনি। অথচ, যাদের বিরুদ্ধে ৩০ বছর লড়েছি তারাই আমার নেতৃত্বদানের উপর আস্থা রাখল। আমি ভাবছি কি হারালাম আর কি পেলাম।’ কংগ্রেস সভানেত্রী ও শরদ পাওয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিবসেনা প্রধান।'
Read the full story in English