হু হু করে বাড়ছে করোনা। দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে জারি হয়েছে লকডাউন, কড়া নিয়ন্ত্রণ। এই পরিস্থিতিতে ফের ফিলল এক বছর আগের স্মৃতি। আবারও পথে পরিয়ায়ী শ্রমিকরা। বাড়ি ফেরা থেকে রুটি-রুজির সন্ধান- আরও একবার গভীর হতে চলেছে পরিযায়ীদের হাহাকার। এরই সঙ্গে পরিয়ায়ীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সরাসরি পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন রাহুল।
মঙ্গলবার বেলায় টুইটে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘ফের রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য পরিয়ায়ীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্য জনতার দিকেই দোষারোপের আঙুল তোলা কেন্দ্রীয় সরকার কী এই ধরনের জন–সহায়তা করবে?’
গত বছর মার্চে আচমকা লকডাউন ঘোষণার জেরে প্রবল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় পরিয়ায়ী শ্রমিকদের। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাতে অর্থ ছিল না, ফলে খাওয়াপড়র সমস্যা চরমে পৌঁছায়। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ছিল না বাড়ি ফেরার উপায়ও। ফলে পায়ে হেঁটেই মাইলের পর মাইল পথ পেরোতে দেখা গিয়েছিল পরিয়ায়ী শ্রমিকদের। মাঝপথে ঘটে চরম দুর্ঘটনা। দেশজুড়েও অর্থনীতি ধাক্কা খায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষদের অর্থের যোগান দিয়ে চাহিদা বৃদ্ধির দাবি জানান বহু অর্থনীতিবিদ। একই দাবি তুলেছিল কংগ্রেসও। একবছর পর ফের সেই স্মৃতি ফেরায় পুনরায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি করলেন ওয়ানাড়ের সাংসদ।।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ১লা মে থেকে সবাই টিকা নেওয়ার যোগ্য বলে সোমবারই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, খোলা বাজারেও মিলবে ভ্যাকসিন। তবে মোদী সরকারের টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন অন্য একটি টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন রাহল গান্ধী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, '১৮-৪৫ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নয়। দাম নিয়ন্ত্রণ না হলে মধ্যসত্বভোগীরা মাথাচাড়া দেবে। দুস্থদের জন্য টিকাকরণে কোনও নিশ্চয়তা নেই। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বন্টন কৌশল নেই। ফলে ভারত সরকারের টিকা বৈষম্যমূলক।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন