মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিল বিজেপি। ইতিমধ্যে পার্বত্য রাজ্যে হিংসার নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার মিশন মণিপুরের অধীনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নয়টি বৈঠক করেছেন।
ইম্ফলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি এবং চুরাচাঁদপুরের কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন তিনি। শাহ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এক সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেন। সেই বৈঠকে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। এ ছাড়া পার্বত্য রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সময়ে, কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে মণিপুর হিংসায় মৃতদের ১০লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দাঙ্গায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের একজন সদস্যকেও চাকরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ যা খরচ তা অর্ধেক বহন করবে কেন্দ্র। একমাসের বেশি সময় ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর।
খবর অনুসারে বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর ফের নতুন করে হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে মণিপুরের একাধিক জেলায়। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০। স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা এবং আইবি ডিরেক্টর তপন কুমার ডেকাও গিয়েছেন অমিত শাহের সঙ্গে। অমিত শাহ রাজ্যে হিংসার কারণ খতিয়ে দেখতে গির্জার আধিকারিকদের পাশাপাশি কুকি সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গেও বৈঠক করছেন। একই সময়ে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান মঙ্গলবার বলেছেন যে মণিপুরে চ্যালেঞ্জ শেষ হয়নি। আশা করি কিছু সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের কোন সম্পর্ক নেই।
এদিকে মণিপুর হিংসার ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বেশ কয়েকজন নেতা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে মণিপুরে হিংসা বন্ধে এবং রাজ্যে শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে হিংসার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।