প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ এবং জৈন উদ্বাস্তুদের সিএএ-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দিয়ে সম্মানিত করেছেন, এমনই মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার বলেছেন, 'নতুন আইনে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও বিধান নেই'।
কংগ্রেস এবং এআইএমআইএম-কে আক্রমণ করে শাহ বলেন, এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এআইএমআইএম-প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই বিধান নিয়ে মিথ্যা বলছেন। তিনি বলেন, তাঁরা এও বলছেন, 'সিএএ বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গেই দেশের সংখ্যালঘুরা তাদের নাগরিকত্ব হারাবে'। শাহ অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস তুষ্টি এবং ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (সিএএ) বিরোধিতা করেছিল।
শাহ তাঁর ভাষণে বলেন, "আমরা যখন বলেছিলাম আমরা সিএএ আনব। কংগ্রেস সিএএ-র বিরোধিতা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ শরণার্থীদের সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দিয়ে সম্মানিত করেছেন"। শাহ আরও বলেন, "আমি এই দেশের সংখ্যালঘুদের বলতে চাই যে সিএএ-এর কারণে দেশের কোনও নাগরিক নাগরিকত্ব হারাবেন না। সিএএ এমন একটি আইন যা নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় না"।
তিনি বলেন, 'আমি আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি আইনে এমন কোনও বিধান নেই"। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস এবং এআইএমআইএম এর বিরোধিতা করলেও মোদী সরকার সিএএ-র প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়ে নরেন্দ্র মোদী মর্যাদার সঙ্গে তাদের জীবনযাপন করার স্বপ্ন পূরণ করেছেন'।
আরও পড়ুন : < Bengaluru Rameshwaram cafe blast: ১২ দিনের লুকোচুরির শেষ, NIA-এর জালে ধরা পড়ল ক্যাফে বিস্ফোরণের মূল চক্রী >
শাহ ৩৭০ ধারা বাতিল, অযোধ্যায় ভগবান রাম মন্দির নির্মাণ, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, তিন তালাক বাতিলের মত বিষয়কে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান হিসাবে সামনে আনেন। একই সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে ভারতের আবির্ভূত হওয়ার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। শাহ কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, 'ইউপিএ সরকার তার ১০ বছরের মেয়াদে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে।