তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। বুধবার দিল্লিতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিতিতে গেরুয়া দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেন অরিন্দম।
বিজেপিতে কেন যোগ দিলেন অরিন্দম?
শান্তিপুরের বিধায়কের দাবি, 'বাংলায় শুধু ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি হচ্ছে। বাংলা বললেই দুর্নীতির ছবি উঠে আসে। বেকারদের হাতে কাজ নেই। এর বদল হওয়া প্রয়োজন। বাংলার উন্নয়ের জন্যই কংগ্রেস ছেড়েছিলাম। কিন্তু কাজ হচ্ছে না দেখেই এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'আত্মনির্ভর ভারত' স্লোগানে বিশ্বাস রাখছি। আশা করি বিজেপির নেতৃত্বে বাংলায় সবকা সাথ সবকা বিকাশ হবে, শিল্পায়ন হবে। প্রত্যেকে কাজ পাবেন।'
শান্তিপুরের বিধায়কের দলবদল প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, 'কংগ্রেস, তৃণমূল কোথাউ কাজ করতে পারলেন না। কিন্তু একেবারে গান্ধী থেকে গডসেতে মুগ্ধ হলেন তিনি। এটাই অবাক করা বিষয়। তবে আর কোনও দল বাকি রইল না ওনার যাওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই তিনটি দলই করে ফেললেন।'
এই প্রথম নয়, এর আগেও দল বদল করেছেন এই বিধায়ক। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাম সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের অজয় দে-কে হারিয়ে শান্তিপুর থেকে জিতেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। কিন্তু ভোটের পর ১ বছরের মাথায় ২০১৭ সালের জুনে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। যদিও বিধায়সভায় এখনও তিনি কংগ্রেসেরই বিধায়ক।
এবার আবারও দল বদল করলেন অরিন্দমবাবু। জোড়া-ফুল ছেড়ে এবার তাঁর গন্তব্য পদ্ম-ফুল। অর্থাৎ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন তিনি।
শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই গুঞ্জন চলছিল। ২০১৯ সালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নদিয়া সফরের সময় আগাগোড়াই তাঁর সঙ্গে ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক। সেই সময় তৃণমূলের তরফে বিধায়কের সমালোচনা করা হয়েছিল। তাঁর উপর হামলার অভিযোগও ওঠে। পুলিশ সেই সময় নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বিধায়ক। সেই ঘটনার জেরেই তৃণমূলের সঙ্গে অরিন্দম ভট্টাচার্যের সম্পর্ক খারাপ হয়। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিসেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন