/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/nadia.jpg)
অধ্যক্ষার চেয়ারে বসে রয়েছেন বিধায়ক। ছবি শশ্চিমবঙ্গ বিজেপির টুইটার থেকে।
শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের চেয়ারে বসে রয়েছেন বিধায়ক বজ্রকিশোর গোস্বামী। দলীয় টুইটার হ্যান্ডলারে সেই ছবি প্রকাশ করেছে বঙ্গ বিজেপি। তারপরই তা ভাইরাল।
টুইটারে ওই ছবি পোস্ট করে বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে যে, 'শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেছেন। এটি ওই চেয়ার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসম্মান। এই ঘটনাটি বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার পতনের ইঙ্গিত করছে।'
Shantipur MLA Braja Kishore Goswami sits on the chair of Shantipur College’s Principal.
This is an act of disrespect-disrespecting the Chair and the Educational Institute.
This incident serves as a microcosm of the collapse of the Bengal's education system. pic.twitter.com/gkSgphU1RY— BJP Bengal (@BJP4Bengal) May 25, 2022
বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে সরব বিরোধী বিজেপি। পুরোটাই 'নির্লজ্জ কাদা ছোড়াছুড়ি' বলে তোপ দেগেছেন বিধায়ক বজ্রকিশোর গোস্বামী। এরপরই সেদিনের ঘটনাটি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, 'গত ১৮ মে শান্তিপুর কলেছে গর্ভনিং বডির বৈঠক ছিল। সেদিন পদাধিকার বলেই আমিও গিয়েছিলাম। আমি যেতেই বারবার অধ্যক্ষা আমাকে তাঁর চেয়ারে বসার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। যদিও আমি রাজি ছিলাম না। এরপর তিনি আমাকে মানবিকতার সঙ্গে হাতজোড় করে নিজের চেয়ারে বসে বলেন। এরপর তাঁর সম্মান রাখতে এবং তাঁর অনুমতিক্রমেই আমি অধ্যক্ষার চেয়ারে বসেছিলাম। এখন ওই ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ কাদা ছোড়াছুড়ি করা শুরু হয়েছে।'
মুখ খুলেছেন শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর যুক্তি, ওইদিন তাঁর ঘরের এসি মেশিনটি খারাপ ছিল। ফলে তিনিই বিধায়ককে পাখার নীচে বসার জন্য নিজের চেয়ারটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।