লোকসভা ভোটের সময় যত এগোচ্ছে, বিজেপি বিরোধী জোটের সমীকরণ ততই স্পষ্ট হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে উনিশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখতে সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। এবার পদ্মবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এনসিপি প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান অশোক চভন। লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে সোমবার বামসহ অন্য দলগুলির কাছে গেলেন তাঁরা।
অশোক চভন বলেছিলেন যে, সিপিআইএমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে কংগ্রেস ও এনসিপি। এজন্য তিনি বলেছিলেন,‘‘কারণ মানুষ আমাদের একসঙ্গে চান।’’ অশোক আরও বলেছেন, ‘‘এই আলোচনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়ার জন্যই আলোচনায় বসার নির্দেশ এসেছে।’’
আরও পড়ুন, বিজেপিকে আটকাতে রাজ্য ভিত্তিক জোটের দাওয়াই চিদাম্বরমের
সোমবার অল ইন্ডিয়া কিষান সভার সম্মেলনে সে রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে একসারিতে দেখা গিয়েছে শরদ পাওয়ারকে। শুধু তাই নয়, কৃষকদের সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিজেপিকে কার্যত কটাক্ষ করেছেন এনসিপি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন যে, রাজ্যে যখন খরা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে, তখন অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার হল জাতীয় বিপর্যয়।’’ বিজেপি সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিনের সভায় চভনসহ অন্যরাও উল্লেখ করেন যে, গত মার্চ মাসে ‘কিষান লং মার্চ’, কংগ্রেসের ‘জন সংঘর্ষ যাত্রা’ ও এনসিপি-র ‘হল্লা বোল’ কর্মসূচিতে মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর জনসমর্থন মিলেছে। এদিকে, এদিনের কিষান সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, চলতি মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ নয়া দিল্লিতে সভা করা হবে। দেশজুড়ে কৃষি সংকট নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনা করার দাবি জানানো হবে ওই সভায়।
সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা বলেছেন যে, দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলনে নয়া মোড় নিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের নতুন স্লোগান হওয়া উচিত ‘নরেন্দ্র মোদি, কিষান বিরোধী’।
Read the full story in English