Advertisment

পাওয়ারের ঘরোয়া কোন্দল চরমে, প্রফুল্ল প্যাটেলকে দল থেকে তাড়ালেন এনসিপি সভাপতি

শরদ পাওয়ারের ঘনিষ্ঠকে সরিয়ে নতুন রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে একতরফাভাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sharad Pawar

গত ২ মে যখন এনসিপি প্রধানের পদ থেকে শরদ পাওয়ার ইস্তফা দিচ্ছেন, সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন অজিত পাওয়ার ও প্রফুল্ল প্যাটেল। সেই সময়ে দলীয় কর্মীরা শরদ পাওয়ারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অজিত পাওয়ার বলেছিলেন যে এটি একদিন হতেই হবে। (ফাইল ছবি)

রবিবারের বিভাজনের পরও এনসিপিতে নাটক অব্যাহত। দলের আট বিধায়ককে নিয়ে রবিবার বিরোধী শিবির ছেড়ে মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিয়েছেন অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নিয়েছেন। সেই সময় অজিত পাওয়ার দাবি করেছিলেন, তিনি এনসিপির হয়েই মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দিয়েছেন। গোটা এনসিপি তাঁর সঙ্গে আছে। তাঁর সেই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরে, শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন, তিনি বিরোধী শিবিরেই আছেন। আর, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এনসিপির ব্যাটন এখন কার হাতে তা নিয়ে লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Advertisment

সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল পরদিন, সোমবারই। এনসিপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে একতরফাভাবে সুনীল তাতকারের নাম ঘোষণা করে দিলেন অজিত পাওয়ার। আর, পালটা অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ প্রফুল্ল প্যাটেলকে এনসিপি থেকে তাড়িয়ে দিলেন শরদ পাওয়ার। অজিত পাওয়ারের অনুগামী হিসেবে পরিচিত প্রফুল্ল প্যাটেল কিন্তু রবিবার মহারাষ্ট্রের শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা জানাননি। এই সিদ্ধান্তটা আবার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার একতরফাভাবে নিলেন। সুনীল তাতকারেও এনসিপির সাংসদ।

আরও পড়ুন- ফের বিরোধী শিবিরে বড় আঘাতের সম্ভাবনা, জয়ন্ত চৌধুরিদের এনডিএতে যোগদান নিয়ে জল্পনা

প্রফুল্ল প্যাটেলের সঙ্গে স্বভাবতই তাঁকেও এনসিপি থেকে বিদায় দিয়েছেন শরদ পাওয়ার। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য প্যাটেল এবং তাতকারেকে তিনি এনসিপি থেকে বহিষ্কার করলেন। এতেই না-থেমে শরদ পাওয়ার তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ার এবং মহারাষ্ট্রের সরকারে যোগ দেওয়া দলের আট বিধায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন তাঁদের এনসিপি থেকে বহিষ্কার করা হবে না?

শুধু তাই নয়, শরদ পাওয়ার সোমবারই তাঁর শক্তি প্রদর্শনের রাস্তায় নেমেছেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক গুরু যশবন্ত চ্যাবনের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে একটি জনসভায় ভাষণ দেন। এই সমাবেশে তিনি জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের জনগণ অগণতান্ত্রিক শক্তির কাছে নতি স্বীকার করবে না। তবে, এসব কথা বললেও জোটেও পাওয়ার কোনওমতে স্বস্তিতে নেই। তিনি অজিত পাওয়ারের জায়গায় মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে জিতেন্দ্র আওহাদের নাম ঘোষণা করেছেন। একতরফা ভাবে কেন শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে জিতেন্দ্র আওহাদের নাম ঘোষণা করলেন? আবার সেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

Maharashtra Sharad Pawar ncp
Advertisment