/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/cats-110.jpg)
মালদ্বীপ ও চিনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মোদী সরকারকে সতর্ক করেছেন কংগ্রেস নেতা।
ভারতের সঙ্গে বিবাদের মধ্যেই মালদ্বীপের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টও চিন সফর করেছেন। মালদ্বীপ ও চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মোদী সরকারকে সতর্ক করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
মালদ্বীপ ও চিনের ঘনিষ্ঠতাকি ভারতের জন্য কোনো বিপদ ডেকে আনছে? এই প্রশ্নই উঠছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বক্তব্যে।
মালদ্বীপ ও চিনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মোদী সরকারকে সতর্ক করেছেন কংগ্রেস নেতা। শশী থারুর বলেছেন যে চিনের সঙ্গে মালদ্বীপের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত এবং এটি যে বিপদ ডেকে আনছে সে সম্পর্কে সরকারকে সচেতন হওয়া দরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর মালদ্বীপ-ভারত কূটনৈতিক বিরোধ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন শশী থারুর। তিনি বলছেন, "সর্বশেষ বিরোধের পর চিন এখন ভারতের সীমান্তে তার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। চিনের সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে"।
শশী থারুর, যিনি মনমোহন সিং সরকারের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বলেছেন, "চিন যে আমাদের সমস্ত প্রতিবেশী দেশে দ্রুত প্রভাব বাড়াতে চাইছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।”
মালদ্বীপ ও চিনের বন্ধুত্ব ভারতের জন্য কী হুমকি?
আসলে ভারত মহাসাগরে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায় চিন। এ জন্য চিনের দরকার মালদ্বীপ। মালদ্বীপে নতুন সরকার গঠিত হলে চিনের সেই প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়, কারণ মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিরোধের কারণে মালদ্বীপ ও চিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি মহম্মদ মুইজ্জু চিন সফর করেন এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর উভয় দেশ ভ্রমণ ও সামুদ্রিক অর্থনীতিসহ ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
দুই দেশের গভীর সম্পর্কের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ভারত। চিন এখন মালদ্বীপে তার সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চায়, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, এখন মালদ্বীপ সরকার ভারতকে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। মালদ্বীপ সরকার বিশ্বাস করে যে দেশে ভারতীয় সেনা উপস্থিতি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা ফিরে গেলে সামরিক ঘাঁটি তৈরিতে চিনের সরাসরি লাভবান হবে। মালদ্বীপে৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন।
ভারত সীমান্তে প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন-থারুর
কংগ্রেস সাংসদ থারুর বলেছেন, 'চিন ভারতের সীমান্তে তার প্রভাব বাড়াতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর কূটনৈতিক বিতর্ক প্রসঙ্গে শশী থারুর বলেন, চিনের সঙ্গে মালদ্বীপ সরকারের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, চিন আমাদের সব প্রতিবেশী দেশে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করছে। আমাদের (ভারত) অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত এবং আমাদের সরকারের সেই হুমকিগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত'।