২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসী জানতে পারেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী চা-ওয়ালা। লোকটা অবশ্য নতুন না। বেশ কয়েকবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সুবাদে দেশবাসী তাঁকে একডাকে চেনেন। তার ওপর গুজরাট দাঙ্গার মত এক বিরাট হিংসাত্মক ঘটনায় তাঁকে যখন তখন তুলোধনা করছেন বাম নেতারা। পারলে, তখনই কাঠগড়ায় তুলে ফাঁসি দিয়ে দেন। সেই চেনা মুখকেই নতুন করে চিনলেন দেশবাসী চা-ওয়ালা রূপে।
সেই থেকে চা যেন বিজেপির রাজনৈতিক জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। 'চায়ে পে চর্চা'র মত নানা কর্মসূচিতে আদ্যন্ত জড়িয়ে থেকেছে দেশের শাসক দল। এবার আসন্ন হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির অন্যতম আকর্ষণ এক চা-ওয়ালা প্রার্থী। নাম সঞ্জয় সুদ। সিমলা শহরাঞ্চল থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনী হলফনামা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা, সবাই জানেন যে তিনি কোটিপতি। কিন্তু, সুদের দাবি তিনি চা-ওয়ালা। তবে শুধু বললে তো হবে না, প্রচারে দলীয় কর্মীদের হাতে কেটলি থেকে চা তুলে দিচ্ছেন। আর, ফোটোগ্রাফারদের ডেকে সেই ছবি তোলাচ্ছেন।
কেউ আচমকা কীভাবে চা-ওয়ালা হয়ে গেলেন, জিজ্ঞাসা করলেই বলছেন একরাশ গল্প। তিনি নাকি একটা সময় খবরের কাগজ বিক্রি করতেন। সেই কাগজ বিক্রির টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছেন। শুধু তাই নয়, টাকা জমিয়ে যে বাসস্ট্যান্ডে পেপার বিক্রি করতেন, সেখানেই চায়ের দোকান করেছেন। চার বারের বিধায়ককে সরিয়ে এবার এমনই চা-ওয়ালা প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। যিনি বলছেন, 'আমার সংগ্রামটা কিন্তু মিথ্যে নয়।'
আরও পড়ুন- গোড়াতেই সুনকের সিদ্ধান্ত কাঠগড়ায়, ভুল স্বীকারেই ব্রেভারম্যানের পুনর্বাসন, সাফাই নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
যদিও সেই সংগ্রামের কাহিনি আর এই নতুন 'চা-ওয়ালা' প্রার্থীর নির্বাচনী হলফনামা মেলে না। সুদ নাকি ব্যবসায়ী আর সমাজসেবী। নির্বাচনী হলফনামা শুধু এটুকুই বলছে। স্ত্রী আইনজীবী। এক মেয়ে। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১.১ কোটি টাকা। আর, অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৭৫ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, সিমলার সারাহানে জমি আছে। আদি বাড়ি কাংড়ার রামনগরে। সেখানে তো বাড়ি আছেই। এছাড়াও কাইঠু আর সিমলাতেও বাড়ি আছে। তবে, এসব তথ্য শুধু নির্বাচন কমিশনের জন্য। ভোটার আর দলীয় কর্মীদের কাছে তিনি ২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদীর মতই স্রেফ 'চা-ওয়ালা'।
Read full story in English