সম্প্রসারিত হল মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা। ১৮ জন মন্ত্রী মঙ্গলবার মন্ত্রীপদে শপথ গ্রহণ করলেন। তার মধ্যে শিবসেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে শপথ নিলেন ৯ জন। বাকি ৯ মন্ত্রী বিজেপির। মুম্বইয়ে রাজভবনের দরবার হলে আয়োজিত হল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
রীতিমতো বেছে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কাজ সারলেন একনাথ শিণ্ডে ও দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের প্রত্যেকেই মন্ত্রী হতে চান। তিনি আবার বিদ্রোহী বিধায়কদের দলনেতা। কিন্তু, সবাইকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া সম্ভব না। তাই বিদ্রোহী বিধায়কদের চাহিদা বিকল্পপথে পূরণ করার আশ্বাস দিচ্ছেন শিণ্ডে।
একই অবস্থা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশেরও। মুখ্যমন্ত্রীর পদই যদি হাতছাড়া হয়ে যায়, শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ে লাভ কী? শিণ্ডেদের নিয়ে সরকার গঠনের সময়ই মহারাষ্ট্র বিজেপির অভ্যন্তর থেকে সেই প্রশ্ন উঠেছিল। এখন আবার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় দলেরই বহু বিধায়কের গোঁসা সামলাতে রীতিমতো মাথা ঘামাতে হচ্ছে ফড়ণবিশদের। তবুও তাঁর চাপ কম। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘাড়ে দায় ঠেলে পার পেয়ে যাচ্ছেন অনেক সময়।
শিণ্ডের আবার সেই ছত্রছায়াও নেই। সবচেয়ে বড় কথা, নিয়মমাফিক মহারাষ্ট্র সরকারে সর্বমোট ৪৩ জন মন্ত্রী জায়গা পেতে পারেন। সেটাও মুখ্যমন্ত্রী-সহ। তার মধ্যে এবার সম্প্রসারণের পর মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা বেড়ে হল ২০। আরও ২৩টা পদ ফাঁকা থাকল। সেখানে আর কতজনই বা জায়গা পাবেন? এনিয়ে শপথগ্রহণকারীদের তালিকায় নাম না-থাকা বিধায়কদের ক্ষোভ বাড়ছে।
আরও পড়ুন- কিষাণ মোর্চার বড় পদে ছিলেন নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত নেতা, ত্যাগীর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার বিজেপির
সূত্রের খবর, তাঁদের শান্ত করতে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে হয়েছে শিণ্ডেকে। এর আগে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মন্ত্রিসভার প্রথমদফা সম্প্রসারণের সময়। সেই সময়ও 'বঞ্চিত' বিধায়করা ব্যাপক ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি ব্যাপক বন্যা হয়েছে। সেই বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে শিণ্ডে হিঙ্গোলি ও নান্দেদ-এ গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গতরাতেই ফিরেছেন। তারপরই সময় নষ্ট না-করে বঞ্চিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যাঁদের ক্ষোভ বেশি, গুরুত্ব বোঝাতে আলাদা করে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিণ্ডে।
Read full story in English