শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত শনিবার করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা অজিত পাওয়ারকে অর্থমন্ত্রক তার হাতে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু তারা রাজি হননি।
রাউত আরও দাবি করেছেন যে শিন্ডেকে বলা হয়েছিল যে মহারাষ্ট্র সরকারে অজিত পাওয়ারকে অর্থ মন্ত্রক দেওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তারা পদটি পরিবর্তন করে তাকে (অজিত পাওয়ার) মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতে পারে। রাউতের এই দাবিকে কেন্দ্র করে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের এই দাবির জবাবে অজিত পাওয়ার বলেছেন, ‘পরিবেশকে নষ্ট করার এক অপ্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা করছেন সঞ্জয় রাউত’।
বিজেপির অন্দরের বিরাট সিক্রেট ফাঁস করে রাউত দাবি করেছেন, “দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতারা শিন্ডেকে সাহ জানিয়ে দিয়েছেন, অজিত পাওয়ারের হাতে অর্থ দফতর তুলে দিতে যদি কোন সমস্যা হয় তবে পদ পরিবর্তন করে তাকে (পাওয়ার) মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হোক”।
২রা জুলাই একনাথ শিন্ডে-দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারে যোগদানকারী নয়জন এনসিপি বিধায়ককে মন্ত্রীপদ বরাদ্দ করা হয়েছিল তখন অর্থ বিভাগ ছিল উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের হাতে।
শিন্ডে এবং অন্যান্য শিবসেনা বিধায়করা গত বছর উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অন্যতম কারণ হিসাবে পূর্ববর্তী মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসাবে অজিত পাওয়ারের তহবিল আটকে রাখার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
রাউত আরও বলেন, “শিন্ডের গুরুত্ব বিজেপির কাছে শুধুমাত্র শিবসেনা ভাঙার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং এখন তা শেষ হয়ে গেছে। অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী বেশিদিন ক্ষমতায় থাকবে কিনা সন্দেহ। বিজেপির নীতি ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া”।
রাউতের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে অজিত পাওয়ার বলেন, "এমন কোন ঘটনা আমার জানা নেই, অকারণে পরিবেশ নষ্টের একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে। মন্ত্রীপদ বরাদ্দে আমরা খুশি’।