তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত সাংসদ। কিন্তু যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এই অবস্থায় দলত্যাগ বিরোধী আইনে কাঁথির সাংসদের সদস্য পদ বাতিলের জন্য লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে চলতি মাসের মাঝামাঝি বর্ষীয়ান সাংসদকে চিঠি দেওয়া হয় লোকসভার সচিবালয়ের তরফে। জানতে চাওয়া হয় তিনি কোন দলে রয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে শিশির অধিকারিকে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছিল। কিন্ত, জবাব দিতে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে আরও সময় চাইলেন কাঁথির সাংসদ। শারীরিক অসুস্থার কারণেই বাদল অধিবেশনে তিনি যোগ দিতে পারেননি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
পাশাপাশি লোকসবার সচিবালয়ের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের কাছেও। একই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। বিদানসভা ভোটের ফলাফলের পর অবশ্য ভোলবদল করেন সুনীল। বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। গত সপ্তাহেই পেগাসাস ইস্যুতে লোকসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রতিবাদেও সামিল হতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি তৃণমূলেই রযেছেন বলে দাবি করেছেন।
লোকসভার স্পিকারের প্রশ্নের জবাবে শিশির অধিকারী এখন কী উত্তর দেন তা নিয়ে কৌতুলহ রয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
যদিও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীকে এদিন কড়া আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "একজন বর্ষীয়ান সাংসদের নিজের দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করতে এতো সময় লাগছে! এটা আশ্চর্যের বিষয়। তিনি কেন মনে করতে পারছেন না এটা দেখা প্রয়োজন। ভোটের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন উনি। আর এখন সময় চাইছেন। প্রয়োজনে ওনার স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা করতে ব্রেনোলিয়া খাওয়া প্রয়োজন।"
দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ বাতিলের দাবিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, "আমরা মনে করি, ওঁদের লোকসভার সাংসদ হিসেবে থাকার বৈধতা নেই। কারণ, তাঁরা দলত্যাগ করেছেন। জনগণকে ওঁরা পরিষেবা দিচ্ছেন না। কাঁথিতে সুস্থ-সক্ষম সাংসদ দরকার।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন