বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে ঝগড়া ফের তুঙ্গে। মঙ্গলবার সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে তাঁর দের বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা মেনে শিবসেনাকে আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে অস্বীকার করার পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সেনা।
এক পদস্থ সেনা নেতা জানিয়েছেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণার পর বেলা চারটে নাগাদ এই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়। এদিনে বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেডকর এবং সেনা নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: শোভন কি ফের তৃণমূলে? গুরুত্ব দিচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি
শিবসেনার এক নেতাকে উদ্ধৃত করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। "পরবর্তী সরকারের গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেডকর এবং দলের নেতা ভুপেন্দর যাদবের এদিনের বৈঠকে থাকার কথা ছিল, শিবসেনার প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল সুভাষ দেসাই ও সঞ্জয় রাউতের।"
এক সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন ফড়নবীশ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে জোটের শর্ত হিসেবে আড়াই বছরের জন্য শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় উপনির্বাচনে প্রার্থী খুঁজতে নাজেহাল পদ্ম শিবির
অন্যদিকে শিবসেনার বক্তব্য, লোকসভা ভোটের আগে ঠাকরে, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং ফড়নবীশের মধ্যে আলোচনায় ক্ষমতা ভাগাভাগির ৫০-৫০ ফর্মুলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেনার তরফ থেকে বিজেপির কাছ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতিও চাওয়া হয়েছিল।
গত ২৪ অক্টোবর বিজেপি বিধানসভায় একক ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না এ কথা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তাদের উপর চাপ দিতে থাকে শিবসেনা। তাদের চাহিদা, আড়াই বছর করে দু দলকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিতে হবে। গত সপ্তাহে শিবসেনার বিধায়করা দাবি করেছেন, উদ্ধব ঠাকরের ছেলে, প্রথমবারের বিধায়ক আদিত্যকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটে বিজেপি ১০৫টি আসন পেয়েছে, যা ২০১৪ সালের তাদের আসনের চাইতে ১৭টি কম। সেনার আসনসংখ্যা ৬৩ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬-তে। শরদ পাওয়ারের এনসিপি ৫৪টি ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছে।