Advertisment

ভোটের মুখে কর্ণাটকে বিজেপি ছেড়ে বহু নেতা-কর্মী কংগ্রেসে, কী বলছেন প্রদেশ সভাপতি?

আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Shivakumar

ডিকে শিবকুমার

কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (কেপিসিসি) সভাপতি, ডি কে শিবকুমার, কর্ণাটকের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব। আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে, শিবকুমার আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের সম্ভাবনার সম্পর্কে জানিয়েছেন। মুখ খুলেছেন দলীয় সহকর্মী এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে তাঁর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সম্পর্কে। কিছু অসন্তুষ্ট বিজেপি নেতার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে যোগদান নিয়েও বলেছেন।

Advertisment

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস কেন আত্মবিশ্বাসী?

কর্ণাটকে প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষ বাদ দিন, বিজেপি নেতারাও বিশ্বাস করেন না যে তাঁরা কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন। যাঁরা দলটি কর্ণাটকে গড়ে তুলেছেন, সেই প্রবীণ নেতারাই এখন বলছেন, এই দল কিছুতেই কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসতে পারে না। তাঁদের অনেকেই দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। আরও অনেকেই আসতে চেয়েছিল। কিন্তু, প্রশ্ন হল সাধারণ মানুষ তাঁদের বিশ্বাস করবে কীভাবে?

কিন্তু, বিজেপি নেতাদের এই ধরনের দলত্যাগ কি কংগ্রেসকে সাহায্য করবে? বিজেপির দলত্যাগীদের আপনারা কোথায় জায়গা দেবেন?

পাঁচ-ছয় মন্ত্রী রয়েছেন, যাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বেশি লোকের জন্য আমাদের রাজনৈতিক জায়গা নেই। প্রায় ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা চাইনি, তাঁরা যোগ দিক। কারণ আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছি। সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে যে আমাদের প্রার্থীরা বিজেপির প্রার্থীদের পরাজিত করবে। সেই জন্য আমরা তাঁদের আমাদের দলে যোগ দিতে দিইনি।

আরও পড়ুন- নিন্ম আদালতের রায়কেই মান্যতা, রাহুল গান্ধীর আবেদন ‘খারিজ’, বিপাকে কংগ্রেস নেতা

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাড়িকে আপনাদের দলে যোগ দিয়েছেন?

সাভাড়ির এমএলসি হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদ এখনও বাকি। আরও অন্তত দু'জন এমএলসি রয়েছেন, যাঁরা এখনও তাঁদের মেয়াদ পূর্ণ করেনি। আয়ানুর মঞ্জুনাথেরও সময় আছে। তিনিও আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা তাঁকে জায়গা দিতে পারিনি। কখনও কখনও আমাদের অনুভূতিকে সম্মান করতে হয়। ইন্দিরা গান্ধীও বীরেন্দ্র পাটিলকে পরাজিত করার পর (১৯৭৮ সালে তাঁর জনতা পার্টির প্রতিপক্ষ) তাঁকে পরবর্তী নির্বাচনে টিকিট দিয়েছিলেন। আমাদের কাছে কেউ অস্পৃশ্য নয়। যদি কেউ কংগ্রেসের নীতি এবং এর নেতৃত্ব মেনে নেয়, তাহলে তাঁদের প্রতিভা এবং তাঁদের প্রতিনিধিত্বকারী অংশকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

CONGRESS Election bjp
Advertisment