বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর তিন হেভিওয়েট রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী করবে এবার গেরুয়াবাহিনী? এ নিয়ে দলের অন্দরে চলছে জোর চর্চা। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বড়সড় কাজেই লাগাবেন অমিত শাহরা, বিজেপি সূত্রে এমনই খবর। সেই বড়সড় কাজের মধ্যে অন্যতম উনিশের লড়াই। লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে পারেন শিবরাজ সিং চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, রমন সিংরা। এমনই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
কংগ্রেসের কাছে হারের পর ওই তিন রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে পদ্মশিবির। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে হয়েছে ওই তিন হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে। সূত্র বলছে, ওই তিন শীর্ষ নেতাকে শুধুমাত্র বিরোধী নেতার দায়িত্ব দিয়েই কাজ সারতে চায় না বিজেপি। চৌহান-সিং-রাজেদের বড় কাজে লাগাতে চায় দল। এ প্রসঙ্গে দলের এক নেতা বললেন, নিজেদের রাজ্যে তিন নেতারই আধিপত্য রয়েছে। তাঁদের এতদিনের সেই অভিজ্ঞতাকে কোনও বড় কাজে লাগাতে চায় দল।
আরও পড়ুন, জট কাটল! মুখ্যমন্ত্রী গেহলোট, উপমুখ্যমন্ত্রী পাইলট
আরেক সূত্র বলছে, ওই তিন নেতাকে হয়তো এখনই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আনা হবে না। লোকসভা ভোটে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে দল যাতে বেশি সংখ্যক আসন পায়, সে ব্যাপারে তদারিকর গুরুদায়িত্বই দেওয়া হবে তাঁদের।
অন্যদিকে, উনিশের ভোটযুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন শিবরাজ সিং চৌহান। কারণ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, তিনি লোকসভা ভোটে লড়ছেন না। পাশাপাশি শিবরাজ সিং চৌহান ও বসুন্ধরা রাজেও লোকসভা ভোটে দাঁড়াতে পারেন। কারণ অমিত শাহরা চান, বসুন্ধরারা নিজেদের কেন্দ্রে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার কাজটা সহজে করতে পারবেন ।
এদিকে, দলে তরুণ বাহিনীকে আনার পক্ষে অনেকে। গেরুয়া শিবিরের এক নেতার কথায়, শিবরাজ, রমন, বসুন্ধরাদের বিরোধী নেতার দায়িত্ব দিলে তা যে শুধু ঠিক হবে না তাই নয়, নেতৃত্বে তরুণবাহিনীকে আনার পথটা আবার রোখা হবে। ওই নেতার মতে, আমাদের নেতৃত্বে সেভাবে তরুণ প্রজন্মের কেউ নেই। নেতৃত্বে তরুণদের আহ্বান করার এটাই গুরুত্বপূর্ণ সময়।
উল্লেখ্য, দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য চৌহান। ওই বোর্ড থেকে চৌহানকে সরাতে চান না মোদী-শাহরা, এমনটাই বলছে একটি সূত্র। পটনায় ওবিসি সমাবেশে চৌহান বক্তৃতা দেবেন, একথা আগেই ঘোষণা করেছে বিজেপি।
Read the full story in English