প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। বিরোধী দলের একাধিক নেতা এর আগে মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন। এবার মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার! ঠিক কী বলেছেন তিনি?
পাওয়ার বিরোধীদের কটাক্ষ উড়িয়ে মোদীর সমর্থনে বলেন,' শিক্ষাগত যোগ্যতা রাজনীতির ক্ষেত্রে কোন বড় বিষয় নয়'। গতকালই কংগ্রেস আদানি ইস্যু নিয়ে শরদ পাওয়ারের ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাকে ভীত ও কাপুরুষ বলেও কটাক্ষ করেছেন। এর ঠিক পরেই পাওয়ারের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার আবারও প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি এবং শিক্ষা ইস্যুতে বিরোধীদের নিশানায় কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলেন, 'যারা নেতাদের ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলছেন তারা সঠিক কাজ করছে না'। যখন দেশ একাধিক বড় সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন একজন নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। উদ্ধব ঠাকরে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়ার মতো নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন তুলেছেন।
রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, পাওয়ার বলেছিলেন 'বেকারত্ব, আইনশৃঙ্খলা এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো একাধিক বিষয় যেখানে সামনে রয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অপ্রয়োজনীয়। প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলির দিকেই ফোকাস করা উচিত।
পাওয়ার বলেন শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়! বেকারত্ব, আইনশৃঙ্খলা, মুদ্রাস্ফীতির মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করুন। ধর্ম-বর্ণের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা করা দরকার। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক।
এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিপ্তে আদানিকে নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান করেন তিনি। কংগ্রেস অবশ্য এপ্রসঙ্গে বলেছে এনসিপির নিজস্ব মতামত থাকতে পারে তবে সমস্ত বিরোধী দল মোদীবিরোধী ঐক্যে সামিল। গোটা বাজেট অধিবেশনেই আদানি ইস্যুতে তোলপাড় হয় সংসদ।