অবশেষে গ্রেফতার নারী নিগ্রহের অভিযুক্ত বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত ত্যাগী। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। নয়ডার অভিজাত আবাসন গ্র্যান্ড ওমাক্সের এক মহিলা বাসিন্দার গায়ে হাত দেওয়ার জন্য গত শুক্রবার নয়ডা পুলিশ এফআইআর দায়ের করে ত্যাগীর বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই পলাতক ছিলেন এই বিজেপি নেতা।
ত্যাগীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলায় রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার রাতেই নয়ডার পুলিশ কমিশনার অলোক সিং জানান, গ্যাংস্টার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে ত্যাগীর বিরুদ্ধে। সোমবার ত্যাগীর আইনজীবী সুরজপুর আদালতে আত্মসমর্পণের আবেদন জমা দেন। সেটির শুনানি রয়েছে বুধবার। কিন্তু তার আগেই গ্রেফতার ত্যাগী। আজই, সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়ডা পুলিশ ত্যাগীকে আদালতে তোলার কথা জানাবে।
শুক্রবারই ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নয়ডা পুলিশ। এক মহিলাকের নিগ্রহ করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। নয়ডার গ্র্যান্ড ওমাক্স আবাসনের বাসিন্দার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ত্যাগী। বিজেপি স্বীকার না করলেও ২০১৮ সালের একটি চিঠি বলছে, বিজেপিতেই রয়েছেন ত্যাগী। ওই বছর ২৭ অগস্টের চিঠিতে লেখা রয়েছে, বিজেপির কিষাণ মোর্চার যুবা কিষাণ সমিতির জাতীয় আহ্বায়ক (সহ-সংযোজক)।
আরও পড়ুন কিষাণ মোর্চার বড় পদে ছিলেন নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত নেতা, ত্যাগীর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার বিজেপির
বিজেপিরই এক নেতা এবং ত্যাগীর সহকর্মী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন ত্যাগী। এই শাখা তৈরি করা হয়েছিল যাতে আরও বেশি করে যুব সমাজ কিষাণ মোর্চায় শামিল হয়। সেই সময় বহু নেতাকে পদ দেওয়া হয়েছিল। ত্যাগীর পাশাপাশি আরও ২০ জনকে পদাধিকারী করা হয়। মিডিয়া উপদেষ্টা, সোশ্যাল মিডিয়া উপদেষ্টা এবং সচিব পদে নিয়োগ হয়।
এর পর গত বছর নয়া কমিটি তৈরি হয়। তাতে অবশ্য ত্যাগীর জায়গা হয়নি। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির আরেক সূত্র মোতাবেক, মোদীনগর থেকে বিধানসভায় টিকিট চেয়েছিলেন ত্যাগী। কিন্তু পাননি। শুধু তাই নয়, এক বছর আগেও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিরাপত্তা পেতেন ত্যাগী।
গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার মুনিরাজ জি জানিয়েছেন, জেলা কমিটির রিপোর্টে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের কারণে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয় ত্যাগীকে। কারণ তিনি নাকি প্রশাসনের লোক। এর পর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়। সরকারের নির্দেশেই তা হয়।