'স্পিকারকে জানিয়েছি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি', বিতর্ক এড়ালেন শুভেন্দু

স্পিকার জানতে চেয়েছিলেন আমি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি কিনা। আমি বলেছি হ্যাঁ।'

স্পিকার জানতে চেয়েছিলেন আমি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি কিনা। আমি বলেছি হ্যাঁ।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী।

বিধায়ক পদে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা গৃহিত হল। স্পিকারের তলব পেয়েই সোমবার দুপুরে বিধানসভায় এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে কোনও রকম বিতর্ক যেতে চাননি তিনি। জানিয়েছেন, 'স্পিকার জানতে চেয়েছিলেন আমি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি কিনা। আমি বলেছি হ্যাঁ।'

Advertisment

গত ১৬ ডিসেম্বর বিধায়ক হিসেবে ইস্তফাপত্র জমাদেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তখন বিধানসভায় ছিলেন না স্পিকার। পরিবর্তে স্পিকারের সচিবালয় থেকে সেই ইস্তফাপত্র 'রিসিভ' করিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পরে স্পিকার জানিয়েছিলেন, শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র ‘বৈধ’ নয়। তাই তা গৃহীত হয়নি। লিখিত ইস্তফা ও ই-মেলেইলের মধ্যে তারিখ বিভ্রাটে কথা তুলে ধরেন স্পিকার। সেজন্য সোমবার দুপুর ২ টোর সময় শুভেন্দুকে তলব করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সশরীরের স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার কথা বিধায়ককে জানানো হয়।

আরও পড়ুন- স্পিকার জানতে চেয়েছিলেন আমি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি কিনা। আমি বলেছি হ্যাঁ।'

Advertisment

তৃণণূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্পিকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তবে তাঁকে ডেকে পাঠানো নিয়ে কোনও 'বিতর্ক' মাথাচাড়া দিতে চাননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'আমি কোনও বিতর্কে যাব না। অধ্যক্ষ নিয়ম মেনেই আমায় ডেকেছিলেন। তাঁর অধিকার আছে।' সঙ্গে যোগ করেন, নিয়ম মেনে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পরে সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকার জানান, শুভেন্দু উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। সেজন্য শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। সেই মোতাবেক সোমবার বিকেল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আর সদস্য থাকলেন না শুভেন্দু। যা নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Suvendu Adhikari