তৃণমূলের বাংলা দখলের হ্যাটট্রিকের দিনেই শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শাহী হুঁশিয়ারি। চেষ্টা করলেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত দলের কর্মীদের চাগিয়ে তোলার। সাফ জানিয়ে দিলেন, 'কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন অমিত শাহ। বাংলায় আসছেন তিনি। বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।'
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সোমবার ওয়েলিংটন থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত সংকল্প মিছিল করে বিজেপি। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপরই রানী রাসমণি রোডে বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেন তৃণমূল সরকারকে। একুশে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে। বলেন, 'ভোটের পর তৃণমূলের অত্যাচারের দোসর পুলিশ। লক্ষাধিক দলীয় কর্মী বাড়ি ছাড়া। এক বছরে নিহত হয়েছেন ৫৭ জন। ২রা মে-র পর যে সন্ত্রাস বাংলায় হয়েছে তা স্বাধীনতার পর হয়নি। ২৫ হাজার ঘর, দোকান লুঠ হয়েছে। ১২ হাজার এফআইআর হয়েছে। বাংলায় বর্বোরচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। আাদের লড়াই করেই এই হিংসা রুখতে হবে। উদয়ন গুহ, শওকত মোল্লা, অনুব্রত মণ্ডলদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।' পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, 'অমিত শাহ কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন। বাংলায় আসছেন তিনি। বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।'
আশা জাগিয়েও একুশের ভোটে ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া বাহিনী। ২০০ আসন জয় করে বাংলা জয়ের শাহী স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গিয়েছে। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা বহু নেতা, কর্মীর ঘরওয়াপসি ঘটেছে। একের পর এক উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছে পদ্ম শিবির। এরই মাঝেই প্রকট হয়েছে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। সব মিলিয়ে বিভ্রান্ত প্রদান বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকরা। এই আবহে একুশের ভোটের পর ফের বঙ্গে আসছেন অমিত শাহ। দলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নেবেন বলেই আশা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেই উৎসাহকে আরও চাগিয়ে দিতেই এবার সেই অমিত শাসহকেই হাতিয়ার করলেন শুভেন্দু।